Wednesday 24 October 2018

ওপার হতে 
#মৌসুমী রায় 
 আগুন কে মনে পড়ে ফাগুনের  আগুনে ,সোনা সেতো সোনা হয় পুড়ে গেলে আগুনে। গানের কলি টা আজ সকাল থেকে গেয়ে চলেছে অসীমা। আজ চল্লিশ বছর পার করে বাবা আর মায়ের সঙ্গে আবার একসাথে। এর পূর্বে আঠেরো বছর একসাথে ছিল ওরা তিন জন। এখন অসীমা আটষট্টি। কিন্তু গলাটা সেই আঠেরোর মতো।

 গান শেখানোর ক্ষমতা বাবার ছিল না। অসীমা রেডিও তে  শুনেই তুলে নিত গলায়। বিশেষ কোরে ,বিকেলে ছায়াছবির গান ,রেডিওতে পরিবেশন এর সময় খাতা ,কলম নিয়ে হাজির থাকত ও।  পড়া লেখাতেও ভালো ছিল। সবই ,অর্থের অভাবে  বন্ধ হতে বসেছে। তখন এক চাকুরী জীবি পাত্রের সন্ধান এলো । প্রায় কুড়ি বছরের বড়। প্রথমে আপত্তি থাকলেও। ছেলের বাড়ি থেকে বলে অসীমা কে, ওরা পড়াবে ,গান শেখাবে যতদূর-- অসীমা চাইবে।
 বাবা কৃষক ,জমি চাষে, যা আসে; সেটাই কুলোয় না। এমন সুপাত্র কেও ছাড়তে চাই। পাত্ররা দুই ভাই আর এক বোন। আর মা। বাবা গত হয়েছেন। বাবার চাকরীটা বড় ছেলে পেয়েছে।তার ওপর শহরে বিয়ে হবে। মেয়েটা খেয়ে ,পড়ে বাঁচবে। বাবা তো,মেয়ের সুখের কথা ভেবে রাজি।
গ্রামের   এর ওর ,সাহায্যে বিয়ে সম্পন্ন হল।
 প্রথম কয়েক মাস অসীমার  আনন্দের সীমা নেই । প্রথমে বাপের বাড়ি খুব আসত। ইদানিং আসা যাওয়ায় খামতি ঘটেছে। বছর খানেক হল বিয়ে।স্বামীর রাত্রে ডিউটি থাকলে ,ননদ অসীমার সাথে থাকত।
----
অসীমা ,খাওয়া দাওয়া সেরে নিয়ে বাবা ,মায়ের সাথে গল্পে মশগুল। মা একটা বলে ,বাবা একটা বলে। আহ্লাদে আট খানা।  অসীমার পোড়া জায়গাটা শীত কালে টান ধরে।আর শ্বশুর বাড়ির কথায় পোড়া জায়গা টা জ্বালাপোড়া করে।

 ভাদ্র মাস চলছে। মাস গুলো অসীমা ওঁর বুদ্ধিতে, চির বসন্তের দেশে ,গুনে গেঁথে  ঠিক করেছে।
এই ভাদ্রে পুজো আসার আগে ,অসীমার মা ,মাটির বাড়িটা নিকিয়ে ,চুকিয়ে ঝকঝক কোরে তুলতেন। চতুর্থী তে মাটির দেওয়ালে খড়ি মাটি দিয়ে চাঁদ আঁকতেন। অসীমা ,গিরিমাটি দিয়ে চারদিক টা বর্ডার দিত। বাড়িতে কুসুমফুলের বীজ ,ছোলা দিয়ে হলুদ চালভাজা ,মুড়ি ,মুড়কি ,নারকেলের নাড়ু তৈরী করতেন মা। খুব মজা। আর শুক্র বার করে রহমান চাচা গ্রামে নতুন জামা ,কাপড় বিক্রি করতে আসতেন। অসীমার একটা লাল সাদা ফুল কাটা ফ্রক কেনা হতো। মা ,বাবার তেমন কিছু কেনা হতো না। জিজ্ঞেস করলে বলতেন ,"তুই পড়লেই ,আমাদেরও পড়া হবে..... "পুজোর পরে বিজয়াতে জামার আঁচলে, নাড়ু ,মুড়কি আনতো অসীমা ;বাড়িবাড়ি বিজয়া কোরে।

অগ্রহায়ণ এলেই অসীমা ,পুতুলের বিয়ের আয়োজন করতো। ওঁর যে বার মেয়ের বিয়ে দিতে হতো ,সেইবার পণ এর আয়োজন করতো। সে এক মজার। অসীমাদের বাড়িতে ,কুটুম এলে; বিদায় কালে পাঁচ -দশ পয়সা দিয়ে যেত। অন্য সময় বাবা ,মা কে দিয়ে দিত। কিন্তু ,ওঁর মেয়ের সময় পণ দেওয়ার জন্য,আচার লজেন্স কিনতো। লজেন্সের সাথে নকল দু ,পাঁচ টাকার নোট দিত। সেই টাকা গুলো পুতুলের শ্বশুর বাড়িতে পণ হিসেবে দিত।

অসীমা এখানে বড়ি দিয়ে বেগুন আর আলুর তরকারি খেতে পায়না। আর পায় না মাছের টক।
এখানে চির বসন্ত। রোদ্দুর তেমন নেই ,বড়ি ভালো শুকোয় না। আর ,পুকুর থাকলেও মাছ চাষ হয়না। কারণ মাছ থাকলে ,এখানে থাকা যায়না। পুকুরে পদ্ম ফুলে ভোরে আছে। সেখানে সাঁতার ও কাটতে পারেনা অসীমা।
পৃথিবীর মত সুন্দর ,কোথাও নেই। সেই দেশ ,সে জন্মভূমি ,তাঁর মাধুরী আলাদা।
তবুও এখন বাবা ,মা কাছে আছে। অসীমা, মেয়ের জন্য সুস্থ ,দীর্ঘ জীবন কামনা করে। জামাই আর মেয়ের শ্বশুর বাড়িটা ভালো হয়েছে। নিশ্চিন্ত ,বাবাঃ।

ছেলের বাড়িথেকে পাকা কথা হোল। পণ দিতে ,অসীমার বাবাকে বেশ বেগ পেতে হয়েছিল। চাষের জমি বিক্রি করতে হয়েছিল। বিয়ের পরে থেকে দুবেলা ,দুমুঠো খাবারের যোগাড় করতে হিমশিম খেতো ওঁরা।
এভাবেএকদিন অসীমা মাধ্যমিক এ ভালো ফল করল। আর পড়া হোলো না। গায়ের রং চাপা ,তাই খানিক পণ দিয়ে ওঁর বিয়ে হোল।
মাঘ মাস এলেই শ্বশুর বাড়ির টাটকা সুখের কথা মনে পড়ে। তখন প্রথম প্রথম নতুন শাড়ি ,গয়না সবই পড়ত। আত্মীয় দের বাড়ি প্রথম একবছর যাতায়াত করত। আর ,একটা দেখত প্রায় প্রতিমাসেই একটা কোরে জীবনবীমা করত স্বামী। অসীমা আপত্তি জানালে বলত ওঁরা ,তুমি এ বাড়ির লক্ষ্মী ।
 বছর দুই  পর থেকে আপত্তি ,অভিমান কিছুই ধর্তব্যে আসতো না। এরমধ্যে অসীমা র  কোল জুড়ে এক কন্যা সন্তান।
ওদের ধারণা ছিল ,ছেলে আসবে। অগত্যা মেয়েই সই।
এখন ও জীবনবীমা কিন্তু অসীমার নামেই। জীবনধারণের উপায় গুলো দূর্বিষহ অসীমার। পেটভোরে খাবারটাও দূর অস্ত। অসীমা বুঝেও ,বুঝে ওঠে না। কারণ ,মেয়ের মুখ চেয়ে। শ্বশুর বাড়ির এখন অনাদরের ধন মা ,মেয়ে।
লোকজন আসবে ,খবর পেলেই ;মা ও মেয়ের যত্ন খুব। তখন চিঠিদিয়ে আসতেন। সময় টা বেশ পাওয়া যেত।
অসীমাকে চিঠির  ভিতরের কথা জানানো না হলেও ,আদরযত্নের বহরে বুদ্ধিমতী মেয়ে বুঝে যেত। কিন্তু ,ওই যে ইদানিং কিছুই আর ধর্তব্যে নেই অসীমার। শুধু জীবনবীমার কাগজে সই ছাড়া।
সই করতে আপত্তি করলে ,মেয়েটার ক্ষতিকরার ভয় দেখাত ঠাকুমা ,কাকা ,পিসি। এমনকি বাড়ির আগের কাজের মাসিটা। এখন অবশ্য সবকাজ অসীমা করে।  এই সব আবার মনে পড়তেই অসীমার পোড়া গুলো ,আরও জ্বলে পুড়ে যাচ্ছে।
সেই ,দু বছর বয়সে মেয়েটাকে ছেড়ে এসেছে। তখনও ,মায়ের দুধ খেত। এখন অনেক বড় হয়েছে।স্বামী ,সন্তান নিয়ে সুখে আছে।
এখন যারা এপারে আসেন ,তাঁরা অসীমা কে বলেন ,খুশী ;মায়ের জন্য কাঁদে। মায়ের জন্মদিনে ,দুঃস্থ মায়েদের সাহায্য করে।

অসীমার ,শ্বশুর বাড়ি দূরে ছিল। এখন ওদের পাশেই।  স্বামী ,দেওর আর শাশুড়ি থাকে। ওরা যোগাযোগের চেষ্টা করলেও ,অসীমারা পাত্তা দেয় না এখন। অসীমারা ,তিন জন দিব্যি আছে। মেয়েটার শুভ কামনা করে ,দীর্ঘ জীবন আর শান্তি যেন পায় ;এটাই অসীমার এখন চাওয়া।মাঝে মাঝে শ্বশুর বাড়ির কথা মনে পড়লেই ,পোড়া দাগ গুলো বড্ড জ্বালাপোড়া করে।
এরা সকলে ,অসীমা কে ঘিরে রাখত ,লোকজন বাড়ি এলে। ফাঁকা সময় দেখে ,এক প্রতিবেশী কাকিমা কে কিছু বলার চেষ্টা করত অসীমা । কিছু বলে উঠতে পারত না। "কাকিমা "-----ডাক দিয়েই চুপ করে থাকত। চোখদুটো জলে ভরে উঠত।

বিয়ের বছর তিন পরে ,এক শীতের রাত্রে।
খুশী তখন বছর দুয়েকের। মামা বাড়িথেকে বিজয়া করে এসেছে। অসীমার বিয়ের পর এই প্রথম বাপের বাড়ি বিজয়া করতে গিয়েছিলো। পুজোর সেই ,ছোটবেলার আনন্দ।হলুদ  মুড়ি ,কুসুম ফুলের বীজ ভাজা ,ছোলা ভাজা ,কুমড়োর বীজ ভাজা দিয়ে ,নাড়ু নারকেলের ,সিড়ির নাড়ু ,মুড়কি অসীমার মা নিজে হাতে তৈরী করেছেন। অসীমা শাড়ির আঁচলে সর্ষের তেল মাখানো মুড়ি খেতে খেতে ,ছোটবেলার কথা অনর্গল বলে চলেছে। অসীমার স্বামী তুলনামূলক ভাবে শান্ত মানুষ। আর এখানে তাঁর মায়ের শাসন নেই। জামাই আদর যতটা পারেন অসীমার বাবা মা ,তার চেয়েও বেশী আপ্যায়ণ করছেন।
ছোট্ট খুশীকে মায়ের কোলে রেখে ,গ্রামের পরিচিত দের সাথে দেখা করতে বেড়িয়ে পড়েছে অসীমা। মোটে দুদিন থাকবে। তাই সব্বাইকে একবার দেখে যেতে চায় ও। এতো কষ্ট অসীমার ওখানে। কেও টের পাচ্ছেনা ওর আনন্দ আয়োজনে। পুকুর ধারের বটগাছটা ,কাশফুলের গোছা ,বিশু কাকা ,সব সব একবার কোরে বুড়ি ছোঁয়ার মতো ছুঁয়ে যাচ্ছে। অসীমার মনে হচ্ছে এই শেষ দেখা ,আর বুঝি হবে না। পুরোনো স্কুল থেকে খাল ,বিল সমস্ত জায়গা গুলোকে একবার দেখা করে। আহঃ কী তৃপ্তি ?
মা ,বলে আর থেমে যায় অসীমা। কিছু বলতে পারেনা। মায়ের সামনে সব ভালো ,ভালো আছি মা ;এমনটা দেখানোর চেষ্টা অসীমার। মায়ের মন কু ডাকছে। অসীমার এই ভালোটা শুধুই দেখানোর ,অন্তরের নয়।
আসা যাওয়ার ,কিছু বলা না বলার মাঝে বিদায় কালে অসীমার অঝোর ধারা খানিকটা হলেও বাবা আর মা কে ভাবিয়ে ছিল। খুশী কে কোলে নিয়ে বারবার পিছনপানে চাইছিলো অসীমা। ঠোঁট দুটো কাঁপছিলো ,এ কান্না তো সেই কান্না নয়।
পৌঁছানো পত্র সাতদিনের মধ্যে এলো। খুশীর গল্পে দাদুদিদার দিন কাটছে। খুশী ,অসীমার মেয়ে।
দিন দশেক পর অসীমার মা ,অসীমার বাবাকে বলছে ; একবার মেয়েটাকে দেখে এসো। মনটা বড়ই কু ডাকছে।
সেইমত জোগাড় যন্ত্র কোরে বাবা রওনা দিলো অসীমার বাড়ি। পুজোটা দেরীতে ছিল এবার। ঠান্ডাটাও এই কাত্তিকে বেশ জমিয়ে পড়েছে।
অসীমার বাবা ওদের বাড়ি ঢোকার মুহূর্তে দেখে পুলিশের গাড়ি ,আর লোকজনের জটলা। ভেবেছেন অন্য কোথাও কিছু হয়েছে বুঝি। কানে টুকরো কথা আসছে বাড়ি ঢুকতে ঢুকতে। আহারে ,মেয়েটা বড় ভালোছিলো ,বাঁদরের গলায় যেন মুক্তোর হার, এই ভাবে নির্যাতন  কোরে ,পুড়িয়ে মারলো। ঈশ্বর ওদের কখনও ক্ষমা করবেননা। জেল হবে ,ফাঁসি হবে। শুনতেশুনতে অসীমার্ বাবা বলেন ,কার কথা বলছেন আপনারা ? উত্তর শুনে পথশ্রান্ত বাবা সেই দরজার মুখেই বসে পড়লেন। বলতে থাকেন,হে ঈশ্বর ,আমার শিবরাত্রির সলতে টাও নিভিয়ে দিলে। ওঁর মা কে কী বলব।
-----

শীতের সেই রাত্রে অসীমার কাছথেকে খুশীকে ছল কোরে সরিয়ে নিয়েছিল ,শাশুড়ি ,ননদ আর দেওর। স্বামী ডিউটি তে ছিল সেদিন।মাঝরাতে দরজায় কড়া নাড়ার শব্দে দরজা খুলতেই অসীমার মুখ চেপে ধরল দীর্ঘদেহী দেওর ,ননদ আর কাজের মাসি। কাজের মাসি  আগে ছিলো ,অসীমার বিয়ের পর বাড়ি ছাড়লেও যোগাযোগ ইদানিং বেড়েছিল।
দুজনে পিছমোড়া কোরে হাত বেঁধে টানতে টানতে বাড়ি থেকে অনেকটা দূরে ফাঁকা মাঠে ,যেখানে সব আয়োজন ছিল ,সেখানে এনে ,পাশবিক নির্যাতন চালিয়ে ,জীবন্ত দগ্ধ করে ওরা অসীমাকে। এক নিস্বাসে যেন সব শেষ হোলো। চুপিচুপি সেই রাতেই বাড়িতে এনে ,একটা আমগাছ ছিল সেখানেও আবার পোড়ালো।লোকজন কে বলা হোল নিজেই পুড়ে মারা গিয়েছে অসীমা।
 এপারে আসতে ,তিনবার পুড়তে হয়েছে ওকে। জিভের স্বাদকোরক গুলো আর নেই। মাছের ঝোল ,টক ,ঝাল প্রিয় ছিল অসীমার।উফঃ আর পারেনা। এখানে চির বসন্ত তাই রক্ষে।গরম হলে চিড়বিড় করত।
------
প্রথমে অসীমার হত্যা কারীদের কোন শাস্তি ই হয়নি। ভাগ্যিস  ,পাড়াতুতো ওসি কাকুর সাথে অসীমার বাবার গ্রামের বাড়িতে দেখা হয়ে যায়। তখন সব খুলে বলেন অসীমার বাবা। আবার কেস পুনরায় আদালত অব্দি গড়ায়। কাজের মাসি রাজসাক্ষী হয়। সব খুলে বলে। জীবনবীমার টাকা হাতাতে অকালে অসীমাকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়।
কাজের মাসিকে টাকার প্রলোভন দিয়ে কাজ হাসিলের চেষ্টা করে ওরা। এও জানা যায়  অসীমার স্বামী কে প্রায় মানসিক রুগী তে পরিণত করা হয়। এই ভেবে চাকরিটা যাতে ছোট ভাই পায়।
 কিন্তু অসীমার মৃত্যুর এক বছর পরে  অসীমার স্বামীর  মৃত্যু হয় হার্ট এর অসুখে।

আদালতের রায়ে , শাশুড়ি ,ননদ আর দেওরের সাজা ঘোষণা হয়। স্বামী ওই দিন অনুপস্থিত থাকায় বে কসুর খালাস পায় ।
জেল খাটার সময় শাশুড়ির মৃত্যু হয়। সাত বছর পর ননদ আর দেওরের মুক্তি হয়।
 কী পোড়া দেশ অসীমার ? দেওর আর ননদের বিয়েও হয়। গরীব বাড়ির দুটি ভালো ছেলে ,মেয়ের সাথে। একটি সন্তান রেখে দেওরের অজানা অসুখে মৃত্যু। ননদ এর খবর এখন অজানা। মানে খুশী জানে না। কাকিমা আর ভাইয়ের সাথে খুশীর যোগাযোগ আছে।

অসীমা  অকালে  চলে যেতে ,ছোট্ট খুশী তখন দাদুদিদার কাছে। ও  বড় হচ্ছে। কলেজের পরে একটি সুন্দর মানুষ এর সাথে বিয়ে হয়। ও খুব সুখী।দুটি ফুটফুটে যমজ ছেলেমেয়ে ওঁর। খুশী মনে করে এঁরা ই খুশীর ,বাবা আর মা হয়ে এসেছে।
মা ,বাবার কাছে খুশীর খবর পেয়েছে অসীমা।
 এখন অসীমা সেই ছোট্ট মেয়ে।  খুশীর খুশীতে খুশী  বাবা ,মা আর অসীমা। ..........

সমাপ্ত







,