Thursday 9 March 2017

গানে আমার রবীন্দ্রনাথ 
শুভম পর্ব 
"তোমায় খোঁজা শেষ হবে না মোর "-- । খোঁজার -চেনার পথের , পথিক আমি.।তোমার "শেষ নাহি যে শেষ কথা কে বলবে "--
তোমার গানে আমার নারী -নাড়ি হতে না নড়ি- । সেই ছোট্ট বেলা --রবি খড়ি করিয়ে ছিলেন আমার ঠাকুরদাদা  ।  কৃতজ্ঞ ,বাবা মা  -কাকা -সঙ্গী সাথীর প্রতি । পরের  প্রজন্ম  আগ্রহী তোমার গানে  ,কথায় ,   গল্পে  ।ও হে আমার প্রজন্মের পর প্রজন্মের বন্ধু।  সঙ্গীত গুরুমা" শ্রীমতি অঞ্জলি দে" তার ভালোবাসা এবং শেখানো প্রতিনিয়ত তাঁর গান -কথা সমৃদ্ধ করে। ফেরার পথে পিছন পানে চায় যে মন বারে বারে ।এত সম্ভার তাঁর ; শুধু গীতবিতান পড়ে উপলব্ধি করতে কত কাল যে কেটে যাবে তার ইয়ত্তা নেই ।স্বল্প জানায় তোমার তল পায় না ।তবুও তোমার উপমা তুমি রবি ঠাকুর ।তুমি রবি ,তুমি ইন্দ্র ,তুমিই ঠাকুর ।যে ঠাকুর কে সহজে স্পর্শ করা যায় ।

"তুমি ডাক দিয়েছ কোন সকালে কেও তা জানে না "--প্রথম ডেকেছিলে ছুটির নিমন্ত্রনে কিনতু আজ সর্বক্ষণ তোমার ডাক শুনি। মায়ের মত  ,ওঠরে -পড় রে -খেয়েনেরে -স্নানকররে --তুমিও তাই । তোমার সাথে নাড়ির বন্ধন। খুঁজে পাই সর্বত্র-- ।দেখদেখি এ যে তোমায় গীতা -উপনিষদ সকল স্থানে খোঁজ পেরেছে। সাড়া তুমি দিয়েছো  ।তাই গীতা ও গীতবিতান আজ একাকার। আলাদা গীতার প্রয়োজন নেই। "যদা যদা হি ধর্ম্যস্য গ্লানির্ভবতি ভারত। অভ্যূথানমধর্মস্য তদাত্মানাং সৃজাম্যহম "--- ।ধর্মের হানি ঘটলে তাঁর উপস্থিতি। এ ধর্ম মানব ধর্ম। তিনি রাজা --চির নতুনের সুর লেগেছে -- ।কচি পাতার অকারণ চঞ্চলতা তোমার গানের টানে।" শ্রদ্ধা বান লভতে জ্ঞানাং তৎপর সংযতেন্দ্রিয় --ভাল লব্ধা পরাং শান্তিমোচিরেনধিগচ্ছতি। "জ্ঞান লাভ করলে সম্মান পাওয়া এবং  প্রদান উভয়ের সূত্রধর  তুমি  ।তোমার গান। মনোনিবেশ করলে বুদ্ধিনিবেশ ঘটে  ।তোমার গান সেই পথ দেখায়। গানের চলন এমনধারায় বয়ে যায় -যেন বহমান নদী -এঁকে বেঁকে চলেছে ; সাগরে মিশবে । একাকার হতে সেথায় ; বিভেদ নেই  ।সে মিলনক্ষেত্র। "এই ভারতের মহামানবের সাগরতীরে "-- । সর্ব ধর্ম সম্মেলনের মানব বন্ধন ।রবি ঠাকুরের গান -গল্প -কবিতা উপন্যাস । বন্ধনের অটুট বাঁধন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ।

রবীন্দ্রসঙ্গীত সর্বকালীন আধুনিক -এর চেয়ে আধুনিক হতে পারে না। থাকলে তা প্রমান সাপেক্ষ --তিনি প্রাণের আরাম -শান্তির নীড়। দিবে আর নিবে --মিলাবে আবার  মিলিবে। 
 অন্ধকার হতে আলোর খোঁজে উপনিষদ    ।তেমন তাঁর বাণী -সুর শুধুই এগিয়ে চলা - ।পিছিয়ে পড়া হল মিছে আশা। "অন্ধকারের উৎস হতে উৎসারিত আলো সেইতো তোমার আলো "-- ।সেইতো তোমার  আমার ,সবার ভাল ।এত সহজ করে তাঁরই বলা।তাঁর গান অহংকারী কে নিরহংকারী -অজ্ঞান  কে জ্ঞানের আলো দেয়।অসৎ কে সৎ এর পথ দেখায়। তাঁর গানে না চাইলে যারে পাওয়াযায়।  স্বধর্মে থাক অন্য কে বাঁচাও ; বাঁচো  ,বাঁচতে দাও। এই সনাতন ধর্ম তাঁর গানে গানে পাঠানো বারতা। মনের পুষ্টি  ,দেহের পুষ্টি ্‌চেতনায় আনে  সমাধান ।

"তোমায় দিতে পূজার ডালি বেড়িয়ে পড়ে সকল কালি "-- নিরহংকার হও ,অভিমানের ওপরে সম্মান এর স্থান রাখ  ।গীতা বলে , যে দানে অহং মিশ্রন  ,সে  দান  কোন শুভ কর্মে লাগেনা। তাঁর গান সেই কথায় বলে। জাগো ওঠ কাজ করো -ঘুমিয়ে থেকোনা -ভাগ্যের দোষ দিও না। তৈরি থাকো সুযোগ এলেই স্থান পাবে। "বিশ্ব যখন নিদ্রা মগ্ন গগন অন্ধকার --কে দেয় আমার বীণার তারে এমন ঝংকার --" শুধুই আলো- আলো । বলে ,দুঃখে না ভেঙে পড়তে। হে ঈশ্বর "পিতা বলে প্রণাম করি "-- ।তাঁর গানে ঈশ্বর আমার কাছের ।তাঁকে পেতে বাহ্যিক বাতুলতা ,দেখনদারি আয়োজনের প্রয়োজন নেই। মনের আয়োজন ই সব। পূর্বেও বলেছি ,আবারও বলছি সমস্তটাই ব্যক্তি নির্ভর ।কারো ওপর কিছু চাপানোর বিন্দু মাত্র চেষ্টা নয় । উপলব্ধির বিশ্লেষণ মাত্র ।ইচ্ছে হোল  ,তাই ভাল লাগার জমির  ফসল ।

"হবে হবে প্রভাত হবে আঁধার যাবে কেটে -তোমার বাণী সোনারধারা পড়বে আকাশ ফেটে "--বেদ -বেদান্ত - গীতা -উপনিষদ ,সর্ব ধর্ম সম্মেলন  তাঁর গান । বাণী ও সুর স্মৃতি শক্তি বাড়ায় । ভাষা সমৃদ্ধ করে । সবই এই গীতবিতান। ধূলিকণার কোটি কোটি  ভাগের একভাগ যদি জানি ; তবে তুমি নও চির অচেনা পরদেশী ।তুমি "গরব মম হরেছ প্রভু " ।বিপদে  রক্ষাকর  তুমি ।আঁধারে নীরব ব্যাথা দিয়েছ ঢাকি ।  আমার ঠাকুমার ঝুলি --ব্যাঙ্গমা -ব্যাঙ্গমী -সাতসাগর তেরোনদীর পারে রাজকুমারের ঘোড়ায় চড়া । রাজকুমারী  কে খুঁজে আনার গল্প কথা --- ।  কল্পনার আধার  রবি ঠাকুর ।" জল পড়ে  ,পাতা নড়ে " --গায়ত্রী ছন্দ তুমি । তুমি ভাবনার জাল বোনার  সাথী  ।তুমি আমার  "কাল ছিল ডাল খালি -আজ ফুলে যায় ভরে -বলদেখি তু্ই মালী হয় সে কেমন করে "- । ভরা ফুলের রঙিন সাজি তে উপচে পড়া সীমাহীন  সুবাস  তুমি । পাখীর মিষ্টি কুজন  তুমি ।----মউসুমি 

Wednesday 8 March 2017

গানে আমার রবীন্দ্রনাথ 
চতুর্থ পর্ব 
"অর্ঘ্য তোমার আনিনি ভরিয়া বাহির হতে --ভেসে আসে পূজা আপন স্রোতে "--সবই আমার অন্তরের- বাইরের কিছু কেনা নয়। কথা ও সুর এর মেলবন্ধন তোমায় হেরি ঈশ্বর রূপে -ভালোবাসার মানুষ রূপে -যার মাঝে খাদ নেই -নেই কোনো তোষামোদ।
 রবীন্দ্রসঙ্গীত এমন ভাবে পরিবেশিত যে সঙ্গীত গায়ন কালে কোন শব্দ একাকী ; আবার কোন শব্দ যুক্ত ভাবে সুর দিয়ে গাইতে হবে। কোনটি ও কারান্ত -কোনটি হসন্ত -আবার কোনটি মীড়  দিতে হবে -তো আবার দ্বিতীয় বার কোনটি ছেড়ে ফিরে আস্তে হবে বারে বারে যুগ্ম দাঁড়িতে। এই স্বরলিপি বন্ধন অপূর্ব --অপূর্ব সুন্দর । তাঁর নতুন দাদা ,জ্যোতি দাদা। তাঁর গানের জ্ঞান কে মঞ্চ করেছেন জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর  ।রবীন্দ্রনাথ ভবিষ্যত দ্রষ্টা তাই তিনি তাঁর সঙ্গীত কে এমন আষ্টেপৃষ্টে বেঁধেছেন। কিন্তূ ভাবনা আর মনের মাধুরীর স্বাধীনতা দিয়েছেন।

কোনো চিত্র বিচিত্র করোনা ; তোমরা-তার জন্য নিজে গান বাঁধ।  রবীন্দ্রসঙ্গীত এ তাল -ছন্দ -মাত্রার চলন তাঁর সুতোয় বাঁধা।তাঁর প্রবর্তিত তাল ঝম্পক -ষষ্ঠী -রূপক রা -নবতাল -একাদশী -নবপঞ্চতল -অর্ধঝাঁপ -চতুর্মাত্রাতাল।  সঙ্গীতের বিভিন্ন তাল রপ্ত করে তিনি তাল প্রবর্তন করেন। তাঁর গান পরিবেশনে লিপিবদ্ধ তাল -সুর -কথা কি আনন্দ দেয় তা বোঝানো সম্ভব নয়  ।নীল আকাশে সাদা মেঘের ভেলায় চড়ে "তোমার অসীমে প্রাণ মন লয়ে যতদূরে আমি ধায় "-- ।ভক্তি ,শ্রদ্ধা এবং বিশ্বাস এ ভর করে বিচরণ ।যেন "পাহাড় চূড়া সাজে ,নীল আকাশের মাঝে --বরফ ভেঙ্গে ডিঙিয়ে যাওয়া ,কেও তো পারে না যে "।
কণ্ঠস্বর ,স্বর বোধ ,স্বরলিপি ,কথায় সুর প্রয়োগে শ্রুতি  মাধুর্য , উচ্চারণ ,তাল ,লয় ,নিস্বাস-প্রস্বাস এবং সংযম ।সঙ্গীতের কাঠামো ধরে রাখে ।কিন্তু ঘটক ?  পরিবেশন করবেন যিনি তাঁর ভালবাসা ,ভাললাগা থেকে ।
যখন মন ভারাক্রান্ত "আবার এরা ঘিরেছে মোর মন -আবার চোখে নামে আবরণ "-- ।নানান লোকে নানান কথা বলে -কথার জালে জড়িয়ে ফেলে -তখন তিনিই আমার আশ্রয়  ।আমায় যেন বলেন "যদি এ আমার হৃদয় দুয়ার বন্ধ রহে গো কভু "- ।দ্বার ভেঙে এস তুমি ফিরে যেও না ।
হৃদয় দুমড়ে মুচড়ে নিংড়িয়ে যখন ; কষ্টে আক্ষেপ করি  ,তুমিও আমায় বোলো "যে রাতে মোর দুয়ার গুলি ভাঙলো ঝরে -জানি নাই তো তুমি এলে আমার ঘরে"-- ।আবার বলো অনেক হয়েছে এবার ওঠতো দেখি কাজ করো ।"আমার এ ঘর বহু যতন কোরে ধুতে হবে মুছতে হবে মোরে "--।সুখের আসার সময় হয়েছে। সুখ উদযাপন করো ।
তিনি নিজেই বলতেন গান বাঁধতে তার বেশি ভালো লাগে  ।মনের আনন্দ -আরাম -শান্তি পেতেন। তিনি আমাদের কথা উপলব্ধি করেছেন ।তিনি মানুষ ,ঠাকুর নন । তাই এই উপলব্ধি আমাদের প্রতিদিনের  গানে সমৃদ্ধ। মা ডাকে যে তৃপ্তি সেই তৃপ্তি তোমার গানে রবি ঠাকুর --"শিশু যেমন মা কে নামের নেশায় ডাকে "-- ।তেমনি তুমি -তোমার গান।

গানের খোঁচ -মোচড় যত্নে ছুঁয়ে যাই মন -তাই "অল্প লইয়া থাকি তাই মোর যাহা যায় তাহা যায় "-- ।তোমার প্রেমে বাঁধা গান আমার পূজার অঞ্জলি । পূজায় বাঁধা গান সেবা ,। এ তো হবার কথা -প্রেম এলে তবেই পূজা। "তোমারেই করিয়াছি জীবনেরই ধ্রুবতারা "-- ।বিষাদ -অবহেলা -ঘৃণা জয় করে থাকি তোমার গানে ।তোমার গানে আমার মান পায় ।তাই গাই যে আমি "বিষাদে হয়ে ম্রিয়মান বন্ধ না করিও এ গান "--- ।উপলব্ধি হয়ত ব্যক্তি নির্ভর ।কারো কাছে বাতুলতা ,কারো কাছে তুষ্ট করা । আবার মনে হতে পারে ভয়ংকরি ।  ভাবনায় কোন ধমক নেই ।ভাবনায় ভেসে চলা মন তরী ।সে তরী পাল তুলে চলেছে গানের হাওয়ায় ।-----মউসুমি 

Tuesday 7 March 2017

গানে আমার রবীন্দ্রনাথ 
তৃতীয় পর্ব 
রাজার কাছে পৌঁছতে গেলে সাতটি দরজা পার হতে হয় - ।-দেখা পেলেও পেতে পারা যায়। ভাগ্যের উপর নির্ভর। শক্ত হলেও অবাস্তব নয় -- ।কারণ অতিক্রান্তের মধ্য দিয়ে , ঘাত প্রতিঘাত আসলেও মনন সুষমায় , চিত্ত রসনার জ্ঞান নেত্রে অঞ্জন অঙ্কিত হয়।   তার মাধ্যম সঙ্গীত -। সঙ্গীত নামের অঞ্জন দুই চোখে তথা তৃতীয় চোখের বিস্ফোরণ ঘটায় । যে কোন সঙ্গীত গায়ন -শ্রবণের মধ্যে । রবীন্দ্র গান  ,এর মধ্য দিয়ে বলা যায় হে নিঠুর যা করেছ ভালই করেছ ।আমার দীপ -ধূপ জ্বালাতে তুমি আমার আধার। এ না জ্বললে আলো -গন্ধ কোথা হতে আসবে --এর মাধ্যম্যে তোমার উপস্থিতি টের পাই।  এই সুখের মাঝে ,দুখের মাঝে  সাত সাতটি দ্বার পেরিয়ে তোমার দ্বারে এলেম। সকল আমার ফুরায়নি - ।আছে সবই তোমার ওই সঙ্গীতের ঝুলিতে।

রাগরাগিণী -বিদেশী -দেশি সুর গ্রন্থি বেঁধেছে ; গেঁথেছে  গান মোহিনী। ছোঁয়া ছুয়ি খেলার মত সুরের  গ্রহন বর্জন । মাটির পরে ফুটে বলে  ,ফুল ভাবে ;  আমি ধন্য।  কোন ফুলে কোন পূজা তার নির্ধারণ ব্যক্তি নির্ভর ।  তোমার নাগালের মধ্যে -তোমার ইচ্ছে আমার ইচ্ছে  -শুধু পুজোর জন্য নোই- আমি যে , তোমার যা খুশির। বনে কত ফুল ফুটেছে , আর মান -অভিমান করে কাজ নেই ।
  সিদ্ধ রাগরাগিণী -মিশ্রণ সাধারণ কথা ও সুর যত্নে বেঁধেছে বিনোদবেণী। প্রেম -পূজা নিশীথ -নিবিড় -গভীর গোপন হতে উদাসী হাওয়ার পথে পথে -কোথায় বাঁক নেবে তা তোমার মত কেউ তো জানে না। প্রেম পূজা -পূজা প্রেম প্রকৃতি বিভাজন বয়সের স্তরে স্তরে কথা সুরের পরিবর্তন। শৈশব -যৌবন -বার্ধক্য ভিন্ন ফুলের মালিকা।
 কি পাইনি -হিসাব মেলাতে যৌবনে না পাওয়ার এক অঙ্ক  ,তো বার্ধক্যে সব পাওয়ার অঙ্ক । পরশ পাথর খুঁজে পায় স্পর্শ রতন -তাঁর সুর মহাবিহার সৃষ্টির পূর্ণতা। প্রাণায়াম শরীর মন গঠন করলে , রবীন্দ্রসংগীত মানুষ গড়ার কারিগর। তাঁর গান আমার মুক্তি আলোয় আলোয় -ঘাসে ঘাসে। জীবনী শক্তি ধর্ম , কুলীন  বর্মের বেড়াজালে আটকে থাকেনা । গানের রবি কিরণ সীমার মাঝে  অসীম ।
রবীন্দ্রসংগীত এর বিষয় বিন্যাস মনের সম্ভাবনা কে মানসসন্তানের জন্ম দেয়। আনে তৃপ্তি -পরবর্তী দিনগুলিকে সুগম -মসৃন করে। তাঁর সঙ্গীতের পর্ব ভাবনার পথ কে উন্মুক্ত করে -আনে বিস্তার। শুভ বুদ্ধির উদ্ভাবনী শক্তি ।

পূজা পর্যায়ে আনে গান -বন্ধু -প্রার্থনা -বিরহ -সাধনা ও সংকল্প -দুঃখ -আশ্বাস -অন্তরমুখে -আত্মবোধন -জাগরণ নিঃসংশয় -সাধক -উৎসব -আনন্দ -বিশ্ব -বিবিধ -সুন্দর -বাউল -পথ -শেষ পরিণয়।  স্বদেশ -প্রেম পর্যায়ে গান -প্রেম বৈচিত্র -প্রকৃতি পর্যায় সাধারণ -গ্রীষ্ম -বর্ষা -শরৎ -হেমন্ত -শীত -বসন্ত।বিচিত্র পর্যায় -আনুষ্ঠানিক -পরিশিষ্ট।
 ভান্ডার পূর্ণ -আর আছে অমৃত ; সেটি ব্রহ্মসংগীত।  সে ঋদ্ধি -সিদ্ধি --আকার নিরাকার -তিনি আমার হাত বাড়ালেই বন্ধু।" ওম " উচ্চারণ -- এঁটো নয় ,সে আঁট ওঁ । ব্রহ্ম সঙ্গীত রবি ঠাকুরের  যা কিনা অমৃতের সাগরে ডুব দিয়ে অমৃত পানে অমরত্ব আনে । "নিবিড় ঘন আঁধারে  জ্বলিছে ধ্রুব তারা -মনরে মোর পাথারে হোসনে দিশে হারা "--"নম্র হৃদয়ে নয়নের জলে দাঁড়াব তোমার সম্মুখে "-- ।ঝড়ে দুয়ার ভাঙতে না দেওয়ার গান গুলি আমার রবি ঠাকুরের গান। সুখের তুমি  ,দুঃখের তুমি , আমার আলোআঁধারের আশ্রয়। বিজন ঘরের নিশীথ রাতে আসবে তুমি আমার একলা ঘরে -মনের আসন পাতা ওগো তোমার তরে ---ঝড়ের রাতে -পূর্ণিমাতে তুমি আমার। শুধু মতামত নয় ,হৃদয় দিয়ে অনুভব এ মনে আসে " বাণী তব ধায় অনন্ত গগনে "-------মউসুমি ।