Sunday 11 June 2017

কথা র সানাই
সমাপন

"তোমার আনন্দ ওই এল দ্বারে,এল এল এল গো "----গানটি পাড়ায় সকলে শুনছে ।মাঝে মাঝে সানাই এর সুর । রবি ঠাকুর আর সানাই এর ছন্দ । আশাবরী -ভৈরবী -ভৈরব সুরের সাগরে অমৃত চেটে পুটে নিচ্ছে বিসমিল্লার পাগলা সানাই । লোকজন একটু ইয়ে -মানে কিছু বলার চেষ্টা করেছিল ।মুখরের মা পাত্তা দেয়নি ।তিনি  একাই মুখরকে এই পর্যন্ত এনেছেন । বাকি টা দেখাই যাক ।মুখরের  বাড়ি আজ সরগরম ।লোকজন এর আনাগোনা ।গত রাতে  ভিয়েন  বসেছিল আবাসনের ছাদে ।নানান মিষ্টি -বোঁদে সব হয়েছে ।সবাই ফেলে ছোড়ে খেতে পারবে ।যাকে বলে আন্না করে ।
আজ মুখর আর মিশুকের বিয়ের দিন ।দুই পরিবার মিলে ঠিক  করেছে ।বিয়ের পূর্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া হয়েছে ।ভবিষ্যৎ কেমন কাটবে ওঁদের ।সমস্ত পরীক্ষা করে দেখা যায় , ঠিক ঠাক সব কিছুই ।উত্তরাধিকার ?  সাধারন -অসাধারন দুই ই হতে পারে ।অভিভাবক যে টা বুঝবেন সেই মতো ব্যবস্থাপনা । চিকিৎসকের পরামর্শ ;এর জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ ওদের আছে ।সেটি প্রয়োজন ।কথা মতো কাজ ।
মুখরের মা ,মিশুকের বাবা মা সবাই  আজ ব্যস্ত । সকাল থেকে জল সইতে যাওয়া -গায়ে হলুদ -নান্দীমুখ ।এয়ো স্ত্রী রা খুব ব্যস্ত । ভাল ভাবে ওদের মতো করে বিবাহ সম্পন্ন ।বেশ ভালই চলছে ।দুইজন দুজনের খুব ভাল বন্ধু ।ওদের  মত ওরা থাকে । চিকিৎসকের টেস্টের নতুন পদ্ধতি তে নতুন খবর বাড়িতে ।নতুন সদস্যের আগমন হতে চলেছে ।"আনন্দ ধারা বহিছে ভুবনে"---- পরিবার খুশি খুশি ।মুখরের মা মাঝে কাঝে চিন্তা করেন । পূর্বের কথা ভেবে । এখন তাঁর ভগবান ভরসা । কালেকালে গভীর হল সম্পর্ক ।  আবার নতুন খবর এক নয় দুই অতিথি আসছে ।দ্বিগুণ আনন্দ দুই দিদির আর দাদার ।
কালে কালে জন্মিল তনয় -তনয়া ।এখন কেও ওদের নামকরণ করেন নি । ঘটনার  পুনরাগমন না হয় । মতামত -উভয় পরিবারের ।চোখ - কান পরীক্ষার পর ।মাস খানেক পর সব পরীক্ষাতেই উত্তীর্ণ ।
ওরা কথা আর সানাই ।নামে ডাকলেই তাকায় -হাসে ।চোখ চারটি স্বাভাবিক ।দুই দিদির দেখভাল ।মুখর - মিশুক কোলে নেয়।  আদর করে ।আনন্দে শব্দ করে।  খুশী হলে মুখর ওর মায়ের কোলে গিয়ে মাথা রাখে । মিশুক মা -বাবা -ভাই কে জড়িয়ে ধরে । ওদের পরিবার জানে এগুলো মিশুকের আনন্দ প্রকাশ ।এখন এরা যৌথ পরিবার । ঠাকুমা -দিদা আবার নতুন মা দুই জন । বাচ্চা -দের এক বছর পূর্ণ ।কথা আর সানাই এখন আধো আধো বলে ।মা -বাবা -দাদা বলে আর টলোমলো করে ।ধরলে দাঁড়ায় ।পা ফেলতে অতটা সড়গড় হয়নি ।
ওদের সাথে অনর্গল কথোপকথনে বাড়ি এখন কথার সানাই । সুরের অনুরণন  একজন কে বেশি সোহাগ করলে অন্য জনের খুনসুটি ।বাড়িতে খুশীর হাওয়া । ধুমধাম করে জন্ম দিন পালন হল ।সবাই আশীর্বাদ করলেন। সকলের  আমন্ত্রণ । চিকিৎসক ,মুখর -মিশুকের দিদিমনি রা সবাই এসে ছিলেন ।  এসেছিলেন মুখর মিশুক কুঠির কর্মচারীরা ।এ খন অপেক্ষায় আগামী পথ চলার । আগামী পথিকদের  হোক শুভ যাত্রা -------
                                                                                                                     মউসুমী 

Saturday 10 June 2017

কথা র সানাই
পর্ব -৩
"অমন আড়াল দিয়ে লুকিয়ে গেলে চলবে না ।এবার হৃদয় -মাঝে লুকিয়ে বো -সো ,কেউ জানবে না ,কেউ বলবে না ।"--- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের  পূজা পর্যায় মুখরের মায়ের ভীষণ প্রিয় ।গান টি তিনি আবৃত্তি করছেন টেনে -টেনে  জোরে জোরে ।টুকটাক কাজ -কম্ম চলছে তার সাথে ।সে মায়ের মুখে আবৃত্তি আগেও দেখেছে ।আস্তে -আস্তে মায়ের মুখের কাছে কান পাতে। মায়ের কোলে মাথাদিয়ে শুয়ে পড়ে ।মা জানে মুখরের ও প্রিয় এটি ।প্রিয় রবীন্দ্রনাথের ছবিটি ।
মুখর দেখে ,  মা আর ও একটা টেনে টেনে কি বলে। সে বোঝে না ।একটা রেশ থাকে ।মা সেইটা করলে ; সে রবি ঠাকুরের ছবির কাছে যায় এবং গীতবিতানের ওপর হাত রাখে ।এটা মুখরের অভ্যাস ।মা এটি তৈরি করেছেন ।

"যদি এ আমার হৃদয় দুয়ার বন্ধ রহে গো কভু -দ্বার ভেঙ্গে তুমি এস মোর প্রানে---"মুখরের মায়ের প্রিয় গান ।বাড়িতে গানটি বাজে-- আর মা অঝোরে কাঁদে । মায়ের চোখের জল মুছিয়ে দেয় ।  আবেগ -অনুভুতি মুখরের ভীষণ ।অপছন্দ হলে তার প্রকাশ একটা বিকট শব্দ ।মা জানে সেটা ।

মুখরের শরীর খারাপ হলে মায়ের চিন্তা দ্বিগুণ ।একে তো মন খারাপ, তার ওপর  ডাক্তার কোনও পরীক্ষা করতে দিয়েছেন তো মুখর কে ধরে রাখার লোকজন খুঁজতে হয়। তখন সে শক্তিমান হয়ে ওঠে । বাকি সব মায়ের কথা শুনে থাকে।
মুখর যেখানে আঁকতে যায় সেখানে মুখরের বয়সী একটি মেয়েও আঁকে । সেও বিশেষ ।তার নাম মিশুক। তার মা তাকে নিয়ে আসে। যাতায়াতে মুখর -মিশুক- দুই মায়ের, খুব ভাব হয়েছে। ওরা যখন আঁকে দুই মা তখন ভাবনা চিন্তা করে ।বলাবলি করে তাঁদের অবর্তমানে এদের কি হবে---
কার হাতে দিয়ে  যাবে ।এইসব -এর মাঝে কবে যে তাঁদের বন্ধুত্ব হয়ে যায় টের পায়নি । মিশুকের বাবা  আছেন -মিষ্টিভাই ও আছে ।সে এখন মাধ্যমিক দেবে ।দিদি কে খুব ভাল বাসে ।দিদি কে; কেও কিছু বললে মন খারাপ করে ভাই ।দুই বাড়ির যাতায়াত বাড়ে । মুখর  মিষ্টি দুজন দুজনের বন্ধু হয়ে গিয়েছে।  ওরা নিজেদের আনন্দ বিশেষ শব্দের মাধ্যমে প্রকাশ করে। .....
 কয়েক বছর পর মুখরের মা দেখে মুখর ভালই আঁকছে। এই আঁকা নিয়ে যদি মুখর এগিয়ে যেতে পারলে মন্দ হয় না । দিদিমনি মুখরের মা কে বলেন ওকে নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে ।তিনিও সহযোগিতা করবেন। পরামর্শ দেন  মাকে -তাঁর নিকটজনের জন্য  গিফট হিসেবে  টেবিল ক্লথ -রুমাল - এর  ওপর মুখর কিছু আঁকা ঝোঁকা করুক । নিজে হাতে মুখর ,তাদের  দিক ।মুখরের জন্ম দিনে  । কথা মত কাজ ।সকলে খুব খুশী। উৎসাহ দিল প্রত্যেকে।রুমাল থেকে আজ  ও শাড়ি -পাঞ্জাবী -কুর্তি সবে তেই দিদিমনির সাহায্যে আল্প বিস্তর নক্সা কাটছে । মা ,মুখরের প্রথম ;যিনি মুখরের শিল্পের উদ্বোধক ।মিশুকের মা -বাবাও উৎসাহিত  ।শুভ কাজে বিলম্ব নয় ।
 মুখর- তার মা -দিদিমনি -মিশুক-মিশুকের পরিবার সকলের সহযোগিতায় একটি  ব্যবসা শুরু করেছে ।নাম দেওয়া হয়েছে "মুখরের মিশুক কুঠি "------
                                                    ---মউসুমী

Friday 9 June 2017

কথা র সানাই
পর্ব -২
জন্মের পর থেকে সকলের নয়ন মণি মুখর ।সবাই মিলে নানান শব্দের খেলা খেলে ।কেও নাম ধরে ডাক দেয় তো আবার কেও পাখির ডাক ,কেও নানান জীব জন্তুর।ঝুমঝুমি বাজান হচ্ছে ।কিন্তু কোন প্রতিক্রিয়া আসছে না ।কয়েক দিন পর ডাক্তার দেখানো হলে  পরীক্ষা করে জানান ; মুখর কান এ শুনতে পায় না ।এটি তার জন্ম থেকেই ।
শুনেই মা -বাবা খানিকক্ষণ স্তব্ধ--- বাড়ি ফিরে সিদ্ধান্ত , মুখর কে আর পাঁচটা বাচ্চার মতই মানুষ করতে হবে । ভেঙ্গে পড়লে চলবে না ।দ্বিতীয় সান্তানের পথে হাঁটলেনও না ।  পাছে মুখর অবহেলার শিকার হয় । যদি দ্বিতীয় তে পুনরাবৃত্তি ঘটে ।
মুখর পাঁচ এ পা দিয়েছে ।চিকিৎসকের পরামর্শ সাধারন বাচ্চা দের সাথে মেলামেশা করাতে হবে।সেই চেষ্টা শুরু ---
কেও বলে এই ওষুধ -ওই ওষুধ ।ছুটোছুটি চলছে। শেষ সমাধান--মুখর বিশেষ সন্তান ।ওর শিক্ষা পদ্ধতি ও বিশেষ। 
বাবা -মা মুখর কে বিশেষ বিদ্যালয়ে ভর্তি করালেন ।সেখানে দেখেন অনেক এই ধরনের ছেলেমেয়ে । বন্ধু হয়ে উঠলেন  অভিভাবক রা ।  বাচ্চারাও নতুন জীবন খুঁজে পেল ।প্রত্যেকের চোখের চাওয়া ভিন্ন ভিন্ন ।কিন্তু উচ্ছ্বাস প্রকাশের বার্তা কম বেশী প্রায় এক ধরনের ।
মুখরের আভিভাবকের চোখেমুখে বিরক্তির প্রকাশ কমই হত। মনের কষ্ট মনেই পুষে রাখতেন । প্রকাশ্যে অপ্রকাশিত ।

বিদ্যালয়ের পড়াশুনো ছাড়াও মুখর সাঁতার এ যায় ।তার বিশেষ পদ্ধতির সাঁতার প্রশিক্ষণ । দিনে দিনে সাঁতারে দক্ষ হয়ে উঠতে লাগল ।তার সাথে একদিন দেখাগেল  মুখর বাড়ির দেওয়ালে পেন্সিল নিয়ে চিত্র বিচিত্র --কি যেন কাটছে । মনে হয় কি যেন বলতে চায় ও ।
ওদের শেখান এমন অঙ্কন শিক্ষিকার কাছে দেওয়া হল ।সেই খানেও সে বেশ জমিয়ে দিয়েছে ।এভাবেই মুখর কে নিয়ে ভালমন্দে দিন কাট ছে ।
সাত -আট বছর যখন  ---মুখরের জীবনের ছন্দ পতন । বাবা অফিস থেকে ফিরল কিন্তু তার সাথে খেলা ধূলা করল না ---আদর করলনা---সেদিন অনেক লোকজন এসেছিল বাড়িতে ।বাবা শুয়ে ছিল ।বাবা কে সবাই মালা পড়িয়ে নিয়ে গেল ।  মা ,কাঁদছিল  মুখর মায়ের চোখের জল ছুঁয়ে ;মায়ের কোলে শুয়ে পড়েছিল ।কখন যে ঘুমিয়ে গিয়েছিল টের পায়নি ।

প্রতিদিন মুখর বাবার আসার অপেক্ষায় থাকে ।মাঝে মাঝে বিশেষ শব্দ করে --দরজা খলে---- রাগের প্রকাশে শব্দটা উৎকট হয়ে ওঠে। ছুটে নিজের ঘরে চলে যায় ।মুখর-মা -বাবা ,তিনজনের ফটোর সামনে দাঁড়ায় ।
মনে কষ্ট মুখরের মা বোঝে  আচরণে ।দিনে দিনে সইল ---মুখর এখন যেন খুব যত্নবান মায়ের প্রতি ।মায়ের জামা -কাপড় গুছিয়ে রাখে ।বাড়ির অনেক কাজকম্ম করে ।মা স্কুল থেকে ফিরলে খুব আনন্দ ।ওর মত করে মা কে ওর স্কুলের কথা বন্ধুদের কথা বোঝায় ।রবিবারে মায়ের সাথে বাজার যায়। বেশ বোঝমান ,দুষ্টুমি একটু করে ।মা বলে অ্যায়ই ----।ওমনি খুশীর প্রকাশ ,মায়ের কোলে শুয়ে পড়া ।হুম; আজকাল রান্নাবান্নাও একটু আধটু করে । মায়ের সাথে  খুন্তি নাড়ে । মা উৎসাহ দেয় ...। স্বাবলম্বী হচ্ছে মুখর ।মা এইটাই চায়।-------
                                                                                                                         মউসুমী  



Thursday 8 June 2017

কথা র সানাই
পর্ব -১
মুখর আজ ১৮ বছরে পা দিল । মায়ের ব্যস্ততা অন্য দিনের থেকে বেশি ।লোকজন আসবে তাঁদের আদর -নিমন্ত্রণ এর আয়োজন করতে ভোর ভোর স্নান সেরেছে--গৃহ দেবতার পূজা সারা হয়েছে ।মুখর আজ আইন মোতাবেক সাবালক। খুশি-ভাবনা মেশান অনুভূতি।মুখর ও আজ সকাল-সকাল নিজের প্রাত্যহিক কাজকম্ম করে নিয়েছে। এমনিতে খুব লক্ষ্মী ছেলে। ঘরদোর অগোছালো পছন্দ করেনা।আজ ও পরিপাটি । মা-ছেলে দুজনেই ব্যস্ত।  অনেক কাজ মা  বলেন বাবু এটা কর তো , -ওটা করত। ও  শুধুমাত্র মা এর কথাই  শুনে থাকে। 
জন্মদিনে কাছের মানুষদের ডেকেছিল ; যারা মুখরের পছন্দের।  সকলে আসাতে খুব আনন্দ। মাঝে মাঝে উত্তেজিত হয়ে বিশেষ শব্দের মাধ্যমে জানান   দিচ্ছে ।মা জানে এটা ওর ভাল লাগার প্রকাশ ।মা মুচকি হেসে মাথায় হাত টা আলতো ছুঁয়ে দিল ।রাত্রে যে যার বাড়ি ফিরেগেল।গুছিয়ে গাছিয়ে শুতে শুতে আজ  একটু দেরী। খানিকক্ষণ পর মা  এপাশ ওপাশ করছে দেখে ; মুখর তাঁর দুটি হাত মায়ের মুখের কাছে নিয়ে দেখে মা এর  চোখে জল আর ঠোঁট  জোড়া দাঁতের কামড়  দেওয়া ।দুই হাত দিয়ে মায়ের চোখের জল মুছিয়ে দিয়ে এক গেলাস জল দেয়। পরম তৃপ্তি আজ মায়ের ।
জন্মদিনের এটি ছিল মায়ের পরম পাওনা । সত্যি আজ মুখর সাবালক ।অনুভূতি-সহানুভূতি সবই বিশেষ ভাবে আছে ।
মুখর শান্ত। ঘুমিয়ে পড়েছে ও। সারারাত মাথার ওপর ঘুরন্ত পাখার দিকে চেয়ে ।আকাশ -পাতাল ভাবনায় মগ্ন ।কখন ভোরের পাখি কলকাকলি করে চলেছে  অন্যমনস্ক তে টের পায়নি । সকাল এ অনেক কাজ ।নিজের  স্কুল -ছেলের স্কুল  আছে । আজ রান্না করতে হবে না।এটাই রক্ষে ।সারারাত মুখর  কে নিয়ে মুখরের বাবা র সাথে  মনে মনে কথায় --কোথায়  পৌঁছে গিয়েছিল ।
আঠেরো বছর আগে যে দিন ডাক্তার বাবু জানালেন ঘরে নতুন সদস্যের আগমন । সেদিন থেকে মা -বাবা দুজনেই আনন্দে উদ্বেল । পরিকল্পনা এটা করব  -ওটা করব । কবে যে দশ মাস অতিক্রান্ত হয়ে গেল ।
যেদিন মুখর হল ডাক্তার বাবুরা বলেছিলেন ওজন কম । তাই ওকে পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে । তবে মা -বাচ্চা দুজনেই সুস্থ । যথা সময়ে মা -বাচ্চা বাড়ি এল ।খুব খুশী  সকলে ।দশদিন পরে দেখাগেল বাড়িতে রঙ্গিন খেলনা গুলোর দিকে চেয়ে আছে। বয়স্ক মা -কাকিমা - জেঠিমা বলল চোখ ঠিক আছে । এবার কান ঠিক আছে কিনা দেখতে হবে।---------