পলক হীনা মেঘে।
এত ঝঞ্ঝা র মাঝে এক পলকে, একপশলা বৃষ্টি যেন এলো।।
অমূল্য একটি উপহার ; একথা বলতে পারি।।
মেঘলা দিনে চেয়ে রবে, হঠাৎ বৃষ্টি এলে।।
তোমার ভালোবাসায় ,তোমায় হঠাৎ মনে এলে।।
যত্নে , দেখব তোমার ভালোবাসার চোখের চাহনি।।
# মৌসুমী।।
মাণিক আমার ওরে
#মৌসুমী
চাঁদ টা কেন বাড়ে কমে সূয্যি কেন ওঠে,প্রশ্নের চোটে,
খোকারা আজ কয় না কথা মায়েরা কান্না চাপে ঠোঁটে।
মায়েদের সেই শিক্ষার বুলি,
আজকে ওই ওঁদের ভরেছে ঝুলি।
তাই তো তাঁরা বক বকানি কম করে,
অনেক দিন না দেখার পরে হঠাৎ দেখা
,মা বলে মাণিক আমার ওরে।
ভয় করো কেন মা গো,আমি তোমার ছেলে,
আমায় যখন তখন ডেকো, তোমার হঠাৎ কান্না পেলে।।
সকাল সাঁঝে মন কেমনের ছলে,
আমিও খানিক ঘুরে এলাম
ছেলের ছোট্ট বেলার কালে।
মন কেমনের রাতে
#মৌসুমী
মন কেমনে ,মনের আকাশ দেখো মেঘলা,
সূর্য বুঝি ডুব দিয়েছে, তোমায় রেখে একেলা!
দেখা হলে দুষ্টু কে দিও কষে খুব বকে!
জানতে চেও ,রোদকে কেন তুলেছে সে তাকে?
টুপটাপ শিশির শব্দে খোলে ঊষা তোরণ,
জেনেও বুঝে ও বুঝি তোমার নেই তো স্মরণ!
লুকালে ,জানো তো হারাবে সব আলো,
অচেনাকে চিনে নিতে মোছাও সকল কালো।
দেখ ঐ ,তারারা বসে মন খারাপের রাতে,
গোঁসা পুষে রেখো না আর নতুন প্রভাতে ।
তুমি রাগ করেছ, তাই তো চাঁদ হাসেনি আকাশে,
সত্যি বলছি তোমায় ছাড়া একলা , মলয় বাতাসে।
আকাশও আজ, একলা বসে কাঁদে নিশীথ রাতে,
তুমি হেসে তোরণ ,যেন খুলে দিও নবীনপ্রাতে।
আজকে তুমি মেঘলা ,কালকে এসো ঝলমলিয়ে,
তোমার আশায় ভাসবে নব হরষে ঝকমকিয়ে ।।।।
সেই...দিন ,সে বাঙালিয়ানা ছিল। আলগোছা জীবনযাপন,বাড়িতে অনাবশ্যক জলসা সাথে চা,টা এবং ভালোবাসা মেশানো নির্ভেজাল আড্ডা। খোঁজখবর নিয়ে ভালোথাকার কথা চলত। হঠাৎ অতিথি এলে,ডাল ,ভাত আর ভালোবাসা পরিবেশন এবং হাতে এঁটো চচ্চড়ি না হওয়া পর্যন্ত আর খাওয়া শেষ হোতে না হতেই ও বেলার রান্না ঘরে কী রান্না হবে তাঁর আলোচনা।
রাঙা পিসি,ফুল খুড়িমা, সেজো জেঠিমা, মেজ কাকিমা,ন কাকা ডাক ও প্রায় বিস্মৃত। সেই নতুন পিসি ,মাসির হাতের তৈরি লেবু ,চিনি জলের শরবত আর তার সাথে মাটির কুঁজোর ভিজে কাপড় জড়ানো জলের সোঁদা সোঁদা গন্ধ। গ্রীষ্মের উপরি পাওনা। এবাড়ির রান্না ওবাড়ির রান্না বাটিতে চালান আবার রান্নার ফাঁকে কার কী রান্না হোল তার খোঁজখবর। অমুক দিদার সুক্ত, ন মাসির ডাঁটা পোস্ত, বকুল ফুলের সইয়ের দিদার বাটি চচ্চড়ি র স্বাদ মুখে আজও লেগে থাকার গল্প।
ভালো দু একটা সিনেমার গল্প, ভাল গানের আলোচনা, রেডিওর বিকেল চারটে থেকে ছায়াছবির গান,রেডিওর নাটক এ শুক্লা বন্দ্যোপাধ্যায় এর কন্ঠ স্বর আহা।
সকাল.. সন্ধ্যে এবাড়ির হিয়া নয়ত ওবাড়ির শ্রেয়ণ দের উচ্চঃস্বরে পড়ার আওয়াজ,পাড়ায় স্নেহময় অথবা স্নেহময়ীদের ভালো রেজাল্ট এ খুশি হওয়া ,সন্ধ্যে গড়িয়ে আড্ডা দিলে ভালোবাসা মেশানো ধমক, তারা নিজের না হলেও।
অন্য বাড়ির ছেলে মেয়ের বিয়ে হলে,অনাবশ্যক আলোচনা,এবারে মেয়ের বিয়ে বেশি নয়ত ছেলের বিয়ে বেশি।
আবার এবাড়ির শশা মুলো তো ওবাড়ির আম ,কাঁঠাল বিনামূল্যে যাতায়াত করত। গরমের সন্ধ্যের পর কুলফি মালায়ের ঝুমঝুম যন্ত্রের আওয়াজের জানান স দেওয়া উফফফফ।
বাড়িতে অতিথি আসুক আর নাই আসুক বিকেল বিকেল গা ধুয়ে এক খাবলা পাউডার নিজে এবং বাড়ির অন্যদের ও মাখিয়ে শান্তি পাওয়া।
কত আনন্দ মেশানো জীবন। টিভি সিরিয়ালের যন্ত্রণা টাও ছিল না তাই স্বরযন্ত্রের সময় নেই।
এই বাঙালিয়ানা ভাবতেই বেশ আনমনা হয়ে যাই। নাইবা রইল সাথে ভাবতে কী এসে যায়!!