Sunday 22 January 2017

সুভাষ

প্রাণের সুভাষ -মনের সুবাস --
বহুর মাঝে একা অপূর্ব তুমি- তোমার বাস। 
গুঞ্জরণ -শিহরণ মনের কোনে কোনে -
ভারত মাতার অকুস্থলে -সঙ্গোপনে। 

তরী খানি দিলে খুলে স্বাধীনতার আসার আশায় -
নিঃস্বার্থ উত্তরণের পথের বিজয় পতাকায়। 
বোঝার -বোঝা বয়ে আনলে কূলে শান্তি বর্ষণের ধারে -
হিসেবে কোনো না খুঁজে  - খোঁজার পাথারে। 

মায়ের দুধের ঋণের হিসেবনিকেশ স্রোতে -
তাই কী বিদায় অ -বেলাতে ?
বিশৃঙ্খল কে শৃঙ্খলাতে আনলে যবে -
প্রণাম তোমায় বাতির সাঁঝে -প্রথম উষালোকে। 

নবীন -প্রবীণ মনন স্মরণ তোমায় -প্রণাম ভারত মাতায় -
অন্যায় -মিথ্যা কারে তোমার প্রতিবাদের ভো- রাই। 
দশের -দেশের তুমিই সুভাষ -তুমিই রবে রইবে জানি -
অনুভব- দেশপ্রিয় তুমি তোমার উপমা আ-মরণ  মানি। 




Tuesday 10 January 2017

আলো -আঁধার 

বর্ষা হয়ে আঁধার যখন কুঁড়ে ঘরের দ্বারে -
ঊষার আলো দ্বার খুলেছে মনের গোপন ঘরে। 

ভাব অ -ভাবের ব্যথা বেদন বাঁধে হৃদয় কোষে -
আলো তখন আশ হয়ে রয় পাশে থাকার আশ্বাসে। 

ঘরে আমার এত আঁধার !তবুও তুমি ভিড় করেছ ?
আলো বোঝায় ভয় পেয়ো না -দিনের আশায় রাত জেগেছে।। 

ওগো আঁধার তুমি অনেক বেদনায় ভাসাও অকূল পাথারে -
দাঁড়াও পথিক -পথ ভুলোনা -আলো দেখো হাত রেখেছে তোমার হাতের পরে। 

ধৈর্য কেন হারাও ?আঁধার রইবে কেন চির কাল -
আলো দেখ বাঁধ ভাঙবে -না রইবে এমনি কপাল। 

আঁধার ওগো -দুঃখ দিলে কেবল অর্দ্ধ জীবনজুড়ে -
চলে যাও গো তুমি --আলো আসুক আমার ঘরে। 

সকল কথায় আছে বুঝি -ভয় যেন না পায় আঁধার -কালো রূপে -
আঁধার আছে -তাইতো আলোর আবাহন যুগে-যুগে। 

যে যাই বলে বলুক -চাইনা দুষ্টু আঁধার ওরে -
আগামী কাটুক ভালো -এস আলো এস  আমার ঘরে।
                                                                     ---মউসুমী 



Tuesday 3 January 2017

ভুল নম্বরে --

প্রখর গ্রীষ্মের দাবদাহে ঘরের দরজা -জানালা বন্ধ --শীততাপ যন্ত্রে গ্রীষ্মে শীতের আরামে মগ্ন --হঠাৎ ল্যান্ডলাইন ফোনের ঘন্টা বেজেই চলেছে --,সেটি ধরতেই এক বৃদ্ধা নারীর কণ্ঠ "হালো " ,এ প্রান্তে কম বয়সী মেয়ের কণ্ঠ স্বরে -আনন্দিত হয়ে বলেন , --একটু অঞ্জন কে দেবে মা। মেয়েটি হতচকিত হয়ে বলেন কে বলছেন ? -সে বলে সে কি তার ছেলে  এই খানে চাকুরী করে । মেয়েটি  বলে তিনি ভুল নম্বরে ফোন করেছেন।মেয়েটি  ফোনটা নামিয়ে রেখে দেয়। 

পরেরদিন ঠিক সেই সময় আবার ফোন --একটি বার অঞ্জন কে দাও না মা। এমাসে ছেলে এখনো তাঁকে টাকা পাঠায় নি। তার এখনই টাকার প্রয়োজন। ,ছেলে ওনাকে যেখানে রেখেছেন সেখানে প্রায় মাসখানেক হয়ে গেলো পেমেন্ট হয়নি। ,তারা টাকা পাওনা কথা জানিয়েছে। একথা শুনে মনটা খুব খারাপ হয়েগেলো মেয়েটার। বৃদ্ধা থাকেন কোথায় জিজ্ঞাসা করতেই তিনি সমস্ত কথা বলতে শুরু করেন। কোথায় আছেন--, তার ছেলের কথা। 

বৃদ্ধা ছেলের কথা বলতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন। বলেন যে ছেলে তাঁকে একটি কাগজে এই ফোন নম্বর টা লিখে দিয়েছেন। ছেলে এটাও বলেছে যে সে ব্যাঙ্ক এ চাকরী করে -দূপুরে সে ফাঁকা থাকে ,ওই সময় ফোন করলে কথা বলতে পারবেন বৃদ্ধা তাঁর ছেলের সাথে।
ফোনের এ প্রান্ত থেকে  তাঁকে বোঝানো হয় যে এই ফোন নম্বরটি একটি বাড়ির ,কোনো ব্যাংকের ফোন নম্বর নয়। 
মেয়েটি তাঁকে জানায় সে যারপরনাই দুঃখিত। এভাবেই প্রায় ছয় -সাত মাস মাসের প্রথম দিকে ফোন করতেন। বলা সত্ত্বেও মানতে চাইতেন না যে ছেলে এখানে কোনো কাজ করে না --,করার কথাও নয়  । কারণ এটি একটি বাড়ির ফোন নম্বর। তিনি ভাবতেন যে মেয়েটি ইচ্ছে করে তার ছেলে কে কথা বলতে  দিচ্ছেনা। 

শেষ ফোনটি যে দিন এলো মেয়েটি তাঁকে বললো মাসিমা এই নম্বর টি তিনি কাউকে দেখিয়ে নিতে পারেন। টেলিফোন এর একটি বই আছে সেটিতে নামের পাশেই ফোননম্বর দেওয়া আছে। তার পর থেকে আর ওনার ফোন আসেনি। মেয়েটি এখনও তাঁর কথা ভুলতে পারেনি। সেদিন মনে মনে ঈশ্বর কে বলেছিল, হে ঈশ্বর  বৃদ্ধা মা কে তাঁর ছেলের সাথে দেখা করিয়ে দাও। আর তিনি যেন কোনো ভুল নম্বরে ফোন না করেন।