Friday 30 December 2016

বুদ্ধদেব 

শৈশব থেকে কৈশর পেড়িয়ে যৌবনের দোরগোড়ায় পা রাখার পরে পরে মনটা যেন তীব্র গতি সম্পন্ন তীরের ন্যায় হৃদয় থেকে বেড়িয়ে এল কিছু করার ইচ্ছে সফরের উদ্দেশ্যে। মননে চিন্তনে সেবা করার বাসনা। যাদের প্রয়োজন-- সেই মানুষদের জন্য।
 কচি বয়স -কে শুনবে তার কথা --তার সামর্থ্য কোথায়? যে কিছু করবে। গভীরচিন্তায় মগ্ন এমনি এক দুপুরে এক বৃদ্ধ তার ছোট্ট মেয়ের হাত ধরে জানালার পাশে দাঁড়িয়ে-- বলে-  খিদে পেয়েছে মা -খেতে দিতে পারবে ?সে তার মা কে শুধালো  কিছু খাবার আছে কিনা -উত্তর এল সবে দুপুরের খাওয়া হল তো -অল্প ভাত -তরকারি আছে। তৎক্ষণাৎ ওদের খাবার ব্যবস্থা হল- আরও কিছু এটা ওটা দিয়ে ওদের খাওয়ানো হল। সেদিন বৃদ্ধ পিতা -কন্যার যে তৃপ্তির একটা হাসি দিয়েছিলো সেটি আজ অবধি সেরা পাওনার একটি। 

বলা বাহুল্য কোনো অভুক্ত কে খাইয়ে যে কিআনন্দ সেটা পিতা মাতার উত্তরসূরি হিসেবে পেয়েছিলোমেয়েটি । এবার সেই বৃদ্ধ কে দেখে  মেয়েটির মন খারাপ হয়ে গেলো -ওমা তার কন্যা তাঁকে একগ্রাস খাওয়াচ্ছে আর সেনিজেও একগ্রাস নিচ্ছে। খাওয়ার পর জানা গেল ওই বৃদ্ধমানুষটি কুষ্ঠে আক্রান্ত।

 তাকে বলা হল সে দুপুরবেলা করে তাদের বাড়িতে এসে দুপুরের খাবার খেয়ে যায় যেন--.বোধকরি সেই দিনটি বুধবার ছিল।ইচ্ছা পূরণের প্রথম সিঁড়িতে -- মেয়েটির খুব আনন্দ -মা বাবাকে বললো আমাদের সাথে ওরাও খাবে-- খুব ভাল হবে বলো। কিন্তু পরের দিন এলনা --প্রায় ছয়দিন  কেটে গেলো -সাত দিনের দিন দেখি ওই বৃদ্ধপিতা -কন্যা এক মুখ হাসি নিয়ে উপস্থিত -বলে কোই গো মা জননী খেতে দাও --এভাবেই প্রত্যেক বুধবার বাড়িতে এসেতাঁরা  খেয়ে যেতেন।

তাঁকে জিজ্ঞেস করা হয় -কেন প্রতিদিন সে আসেনা --জানায় যে এই বাড়ির মতো আরো কয়েক টা বাড়ি পেয়েছিগো মা। তোমরা সকলে মিলে বারোমাস -তিরিশ দিনের খোরাক জুগিয়েছ। এই ভাবে তিনি প্রত্যেক বুধবার আসতেন। তার  আমৃত্যু পর্যন্ত। সে প্রতি বুধবার আসত --তাই নাম দেওয়া হয়েছিল বুদ্ধদেব। তার নিজের নাম কখনো জানা হয়নি। তাঁকে বুদ্ধদেব দাদু বলা হতো। বৃদ্ধের কন্যা এ  কে সুজাতা নাম ডাকতো বাড়ির সকলে। 

Friday 23 December 2016

 শিবু

সকাল নয়টা বাজিতে না বাজিতে তাহার উপস্থিতি। ইহা যেন বিদ্যালয়ে কোনো ছাত্রের উপস্থিতি বাঞ্ছনীয়। অনুপস্থিত রহিলে জীবনে রক্তিম রেখা অঙ্কিত হইবে। না হইলে অবশ্যই পুরস্কার প্রাপকের দল সংখ্যায়। 
ঝড় -বৃষ্টি তাহাকে কাবু করিতে পারে নাই আমৃত্যু। প্রকৃতির সকলভ্রূকুটি -ঝঞ্ঝা লঙ্ঘণ করিয়া নূতন প্রকৃতি সৃষ্টি তাহার জীবনের মূলমন্ত্র। সে বাটী তে আসিলে সকল সদস্যের কেমন যেন মন টি শিশুসুলভ হইয়া যাইত।


একটি শব্দ তাহার আগমনের বার্তা বহিয়া আনিত। আসিবামাত্র দীর্ঘশ্বাস টানিয়া লইত। যেন একটি তাল -ছন্দ বদ্ধ। 
বাটীর বৃদ্ধ -ক্ষুদে সদস্য কূল তাহার আপ্যায়নে ব্যস্ত -ব্যাকুল পদে ত্রস্ত উপস্থিত। ইহার পর তাহার সহিত চলিত বাক্যালাপ -স্নেহ ভালোবাসা -সবই যেন উপচাইয়া পরিত। সেটি বাটীর  সকলে শুভ ক্ষণ মানিয়া লইত। অতিথির আগমন সময় ক্ষণ স্থির রহিত। তিনি ঘন্টার অর্দ্ধ কাল যাপন করিতেন -কারণ অন্যত্র তাহার সময়ের টিকি বাঁধা রহিত। সুতরাং কিয়ৎ কাল মধ্যে আহার -জলপান সমাপন করিতে হইবে। পরিবেশন মাত্রই নিঃশেষে সবটুকু গ্রহণ পূর্বক বাধিত করিতেন। তাহার পর একটি পরম তৃপ্তির শ্বাস লইতেন। তাহার তৃপ্তি পরিবারের সদস্যদের তৃপ্তি ঘটাইতো। পরবর্তী দিনের আয়োজনের ব্যাকুলতা বোধ হইতো সকল সদস্যের।
  তাহার নামটি ছিল 'শিবু '--সে আহার শেষে যাইবার লাগিয়া ব্যস্ত হইত -তখন খুদে সদস্য টি বলিত ''তিব্বু -ও তিব্বু এছ - এছ ''--..এভাবেই সে বাটির সকলের বন্ধু বর হইয়াছিলো। আনন্দিত হইয়া কখনও মস্তক দোলাইতো ,কখনো ডাক পারিত। সোহাগ লইত -আদর খাইত ।
পটল চেরা নিষ্পাপ চক্ষু যুগল দিয়া সকলের হৃদয় উদ্বেল করিত ।বাটির সকলের প্রশংসা পাইবে , ইহা তাহার মনের বাসনা ।সেই হেতু তাহার প্রস্থান পর্ব টি রহিত সকরুন ।কল্য আসিবে ইহাই কামনা রহিত ।বিদায় কালে বারং বার পিছন পানে চাহিত । সেবা তাঁর পছন্দ হইয়াছে । সদস্য টি  ঝটিকায় উড়িয়া যাইবার কালের এঁটো পত্র নহে ।রীতি সম্মত বাটির সদস্য দের একজন ।আগমনে উৎফুল্ল আবার বিদায় কালে বিষণ্ণ ।কর্ম সম্পন্ন হইলে , যাইবার লাগি উদগ্রীব হইত ।
তাহার আগমনের নির্ঘণ্ট যাপিত হইলে সকলে চিন্তা করিতেন ।সকলে বলাবলি করিত বিলম্ব কেন হইতেছে ।এটি  হওয়ার কারন - কি হইতে পারে ; কোথায় যাইতে পারে ।ভাবিতে ভাবিতে মূর্তিমান উপস্থিত হইতেন । শিবু সেইটি উপভোগ করিতেন ।তাহার প্রকাশ ; শিং নাড়িয়া - পুচ্ছ ঝাপটা দিয়া করুন নেত্রে দণ্ডায়ও মান রহিত ।

সে যাইবার কালে উৎফুল্ল হইয়া হাম্বা -------করিয়া হাঁক পারিত -বলিত বিদায় দেহ বন্ধু -কল্য উপস্থিত হইব।  
এ আর কেহ নয় এ এক'' ষণ্ড ''--কাহিনী।তাহার আগমন ছিল প্রাণের আরাম -মনের শান্তি। অন্তর টি ছিল অমলিন ।বৎসরের পর বৎসর কাটিতে লাগিল ।প্রকৃতির নিয়মে সকলে বন্ধনে আবদ্ধ ।অমর আর কে -কোথা কবে । জীবন নহে ;কর্ম কাল অমর ।তাহার কর্ম কাণ্ড স্মৃতি ধারন করিয়া রাখিয়াছে । আসিলে যাইতে হইবে --অমোঘ বাণী তাহার ক্ষেত্রে ও ঘটিয়াছিল।  বহু কাল পর তাহার চির অনুপস্থিতি স্বজন বিয়োগের ন্যায় ব্যথাতুর হইয়াছিল।  

Thursday 15 December 2016

তুই 

ফুটল কুসুম যে দিন মনের মনিকোঠায় 
সেই টি ছিল প্রথম পরিচয় তোমায় -আমায়। 

সে যে ছোট্টসোনা মুচকি হেসে এল যখন ঘরে -
অন্তরেতে বাজলো ওই বীণার ঝংকারে। 

আকাশ -বাতাস মুখরিত -গৃহে শঙ্খধ্বনি -
ঘুম মাখানো চোখের কোলে ছোট্ট চাহনী। 

পরক্ষনেই হাত -পা ছোড়া -ছুড়ি -দূর্নিবার। 
এ যে আর কারও নয় -শুধুই আমার আবিষ্কার।

হঠাৎ কখন বড় হল মানুষ -হৃদয় মনে -
বেজেছিল কানে ,'মা '-মানুষ হব কোনো ক্ষণে। 

আনন্দেতে হৃদয় উথাল -পাথাল -চোখ ছলছল নীরে -
সেদিনের ওই ছোট্ট তুই -ভরসা যোগায় মোরে। 

শুভ আশিস -ললাট দিলেম ছুঁয়ে প্রাণপণে -
সুস্থ -সুষ্ঠু দীর্ঘজীবন পরমপ্রাপ্তি মনেপ্রাণে।  

Wednesday 7 December 2016

কী আবেশ হেরি

#মৌসুমী রায়

ও পাড়ে তে আঁধার ঘনায় মিশি নিশি কালো ,
এ পাড়েতে জোছনা মাখা পঞ্চদশী এলো। 

তিমির অমা ,অমা নিশি বিদায়ী বারতা পেয়ে ,
শুক্ল তরী ভাসে,জোছনা জোয়ার স্রোতে। 

অনিমিখে,চন্দ্রস্নাতা মীনাক্ষী মন্দিরে :
শিল্পী ,শিল্পে নয়ন আবেশ স্থাপত্য নিরিখে। 

ওগো সুন্দরেশ্বরম বর্ণময় দক্ষিণী ভঙ্গিতে ,
অন্দরমহল সজ্জা ,অন্তরে নটরাজ তাল ছন্দে। 

মনো হরণ -হৃদয় লোভন চায় বারেবার ওই বাটে ,
কারুবাসনায় খোদাই মন্দির , মীনাক্ষী পটে। 

ইতিহাসের   শৈলী,নীরব সৃষ্টি লালন ;
গাঁথা মালা পদাবলীর  নীরব কথন। 

 উত্তর হতে দক্ষিণ  ভিন্ন ,অভিন্ন ইতিহাস কাহন ;
 ধন্য আজি , নাও বিনম্ৰ অভিবাদন। 

কীর্তি স্মরণে ,সারণী মাঝে বারোমাস্যা যাপন ;
পুরাণ কখন সুবাস ঢালে স্মৃতিকোঠার  চারণ । 

স্তব্ধতা ,বাঁধনহীন ক্ষণ, দাঁড়ায় সম্মুখ দ্বারে ;
অ-ভাবে ,ভাবে মন ;বিরাটমাঝে ক্ষুদ্র দীনতারে। 

সবপাওয়ার  ,জানার  উছ্বাসে ;তুচ্ছ অহমিকায় ভারী  ,
 সৃষ্টি চাক্ষুষের  অপেক্ষায় আজও  মানব কান্ডারী।
------

Wednesday 30 November 2016

কথা 

কথার পরে কথা যখন সাজিয়েছিল মেঘের ঘর -
কথায় -কথায় ঘিরেছিল ঘোর-  মনাকাশ মোর। 

ঝরো -ঝরো কথার ঝড়ে ঝরেছিল বৃষ্টি সুর -
উড়ান ভাসান কথায় কথায় উঠেছিল পদ্য ঝড়। 

কথার সুর কাটলে বুঝি নাই বা থাকে কথার দোসর -
কথায় বাজে সুরের খনক- সুর -সঙ্গম মনের ডোর। 

মুখকথা অনুপস্থিত ,জানান দিল চোখের কথার আড়াআড়ি -
কথা -কথার বন্ধু যখন নিকট হল দূর- দূরী। 

কথায় যারা ভিজেছিলো কথাপাগল সাথে -
খুশিকথা পাল তুলেছে কথার তরঙ্গেতে। 

বেদন যখন বেজেছিল কথা -কথার গ্রন্থিতে -
কথক -কথা জীবন -মরণ মিলন দিগন্তে। 

কথার ঝড় বিষোদ্গার -কথার স্তুপে পাঠাগার -
তপ্ত ললাট বৃষ্টি ছোঁয়ায় -স্নেহ কথা র তোড়। 

ফস্কেকথা ব্যথায় বোঝা -ভারাক্রান্ত এ মনন -
মিষ্টিকথার ডাকে বুঝি এলে ওগো হৃদয় হরণ। 




Sunday 20 November 2016

Rabindranath Tagore in hindi
Gitobitan
Prem Poryay
(9)
KAL RATER BELA GAN ELO MOR MONE...

Kal raatonmay geet aya mere mon may
Tab thhe nehi tum mere saath may.
jo baat chahe kahene tumhe..
beetgaye jibon ankho k anshuo may.
mere wohi baate suron ki angar may..
jwal uthe andhere ki kxhan may.

Tab bhi tum nehi thhe mere saath may.
shoche thhe  aj subah hotehi wo baaten kahe du tumhe.
phoolon ki udashnia khushbu baan k chha gaye ..
panchchio  ki gunj aasmano may baane gunjaishe..
phir bhi wo baat nehi laage sehi sur may..
jitnebhi prayash korlu praan pran rakh k..
jab tum hi thhe mere saath may.


Thursday 17 November 2016

মন 
ভালো -খারাপ  জানা পথের পথিক অজানা -
আঁধার -আলো -চেতন -অবচেতন - কারখানা ,
ভরা কলসের ছলকে পড়া জলের ধারা -
 তুমি ঘাসের আগার শিশির ঘেরা। 

ক্ষণেক হাসা -ক্ষণেক কাঁদা -বাধায় বাঁধা -
গরব হরণ  -লজ্জা মাখা ভালোবাসায় সাধা ,
উদাস হাওয়ার  চলার পথে আনমনা হরবোলা -
বিষাদ ভরা শুকনো মুখে  মনখারাপের বেলা। 

স্মৃতি -বিস্মৃতির রোমন্থনে গল্প গাছা এরা -
একা -একার সঙ্গী ভিড়ে ভিড়লো স্মৃতিরা ,
হিমেল স্রোত বয়ে চলা  শিরায় -উপশিরায় -
সুস্থ অনুভূতি ঝাঁঝ আলতো ছোঁয়ায়।

 আঁকড়ালে ফসকে যাবার অছিলায় -
ভাবনা -রাখব  ভালোর নিশানায় ,
ভাবের ঘরে বসত -অভাবের ঘরে -
সুখ -দুঃখের নাগরদোলা মন কারে। 

বায়ুর চেয়ে বেগবান চঞ্চলা চপলা -
নিষেধ বিধির ধার ধারেনা মনে  কানমলা -
সৃস্টি -ধ্বংসের -বিষ -অমৃতের কারণ -
নিজের হাতে লাগাম দেওয়া  যদি মন। 

এযে দেয়া -নেয়া -মানেনা বারণ -
প্রশ্ন ছিল শুধাও কী -কখন -
কারণ -অকারণ বয়ে যাবার পথিক -
ভালোবাসা -মন মাঝির- তরণী বাওয়ার অধিক। 


Wednesday 9 November 2016

যাও এ বাংলা ঘুরে 

তব নামে হোক বিশ্ব জুড়ে খ্যাতির শিখর -
মাগো তোমার ডোরে বাঁধা রব জীবন ভোর ,
মাটি মিঠে -ভাষা মিঠে মিঠে প্রকৃতি -মিঠে মিঠি সুর -
ঋতুভেদে রূপসী -লাবণ্যময়ী বাজে সুমধুর। 

হেথায় মনের খোরাক -প্রাণের খোরাক পর্যটন -
লালমাটির পথ বরাবর কোপাই -খোয়াই সোনাঝুড়ি বন ,
রবি ঠাকুর ডাক পেরেছে -বিশ্ববাসীর আমন্ত্রণ -
বলেন আশানন্দন শান্তির আলয় এ যে শান্তিনিকেতন। 

নানুর সেথা রজকিনী রামিচণ্ডিদাসের ধাম -
লাভপুরে হাঁসুলিবাঁকের পথে মা ফুল্লরার নাম -
হেথায় আকাশতলে খ্যাপা আউলবাউল সুরে -
নাইরে বিভেদ কেন্দুবিল্বও জয়দেব-বামাখ্যাপারঘরে -

নন্দেশ্বরী  -মামাভাগ্নে -বাদশাজাদী হেলেনা হেতমপুরের বুকে -
বর্গী সাথে লড়ে ঘুমায় সেথা সুখে। 
"দেহি পদ বল্লভ মুদারম ' -ডাকের মাঝে বাঁকুড়ার নাম -
টেরাকোটা-মদনমোহন নৃত্যতালে রাসমঞ্চ ধাম।
যদুভট্ট -রামকিঙ্কর -যামিনী রায় -মোহরের -
জগৎজোড়া নাম। 

বসন্তের বসত হেথায় বারোমাস -
পুরুলিয়া আগুন -ফাগুন পলাশ গান -
হয়তো কোথাও বাঁকের পথে সাঁওতালীমেয়ে -
দুলে দুলে নাচ দেখাবে গান গেয়ে -

রাগ সংগীত -বাউল গীতির সুরে এস নবদ্বীপের ঘরে -
কীর্ত্তন গেয়ে নগর ভ্রমণ সেরে গৌড় এল দ্বারে -
সপ্তসাগর যেথায় যাবে বাইরে -দূরে -
ডাকবে দেখো "এস এস আমার ঘরে ".

আকাশ -বাতাস -মাটি স্নিগ্ধ সহজ গানের সুরে -
সোঁদা মাটির গন্ধে পাগল -ভাঙবে আগল -
বাংলা মায়ের নরম কোলে -হৃদয় দোলে -
ডাক পড়লো কি গো তোমার হৃদয় পুরে ? 





Wednesday 26 October 2016

Rabindranath Tagore in Hindi
premporyay
Gitobitan..
...34...
Valobese sokhi nivrite jotone ...

prem deke sakkhi yatan kar k-mere naam likkho tumhare hridoi ki monmondir may-
mere man may jo sangeet gunj rahe hay-
usiki taal-chhand sikkh k-tumhare payel ki jhankar may bandh k rakkho..
pyar may vula k mere bolte hue panchhi ko rakkho -
tumhare ghar ki angan may-
yaad kor k sakkhi baandh rakkho mere haath ki rakkhi -
tumhare haathon ki kangan may-
mere perh ki ek kali vula sehi utha k rakkho -
tumhari kabari ki banddhan may-
mere yadon may ye suv sindur shringer karo-
tumhare lalat ki bindu may-
mere hridoi ki kamna -madhur baten ang may lyptayon -
jayshe fulon ki  kkhushbu  may-
yea mere chanchal man jibit rahe -na rahe-
chupa k rakkho tumhare vaali vaati garab ki hridai may.

Tuesday 25 October 2016

নাচনি 

"মনে করি মনস্তাপ -জলে নাহি দিব ঝাঁপ -
বঁধু আছে নদী পাড়ে -কেমনে দেখিব তারে -"
নাম না জানা -কেমনে ডাকি আজ -
ঝুমুর তালে না ফুঁকেও বাঁশি সুরে বাজ। 

 মোদের নাম যে  নেচে -গেয়ে 'নাচনি '-
পুরুলিয়ার পলাশ বনের আগুন রাগিণী। 
অভাব মোদের নিত্য সাথী -পণ দানে অক্ষমতায়-
লোকে বলে -বলে গো অরক্ষণীয়া। 

ঝুমুর তালে -মাদল বাজে নাচের তালে তাল -
অঙ্গ দোলে -দুঃখী মনের সঙ্গী রসিক  লাল। 
রসিক সাঙাত -সতীন ঘরে বাসী। 
ঘর -বাহিরের- যৌবনে  কামের কদর এ রসিক দাসী। 

নাই যে মোদের সন্তান -সম্পত্তি -স্বামী অধিকার -
সিন্ধুবালা নাচনির ঠাঁই রাজা চাঁপা মাহাতোর ঘর। 
নই গো মোরা মা -মেয়ে -ঘরণী -
গিরগিটির বিষম জ্বালা ,যে নাচনি। 

অখ্যাত রীতা -সন্ধ্যা -বিমলা -হাজারি -
মরণের ওপাড়ে অস্পৃশ্য -অচ্ছুৎ পায়ে বাঁধা দড়ি। 
আত্মজা খাওয়াসিং ডাকে সর্ব জন -
নাই সম্মানের কদর আয়োজন।

বাংলা সংস্কৃতির অবাঞ্চিতা অনাম্নী মালাবতী -
মরণ পরে পেলে যে পুত্র গঙ্গাধরের মুখাগ্নি স্বীকৃতি। 
কাল ছিল গাছের ডালে শুধুই রুখা -শুখায় ,
আশায় বাঁচে নাচনি আজ ডাল ভরবে পাতা -লতায়।  


,





Saturday 22 October 2016

Rabindranath tagore in hindi..
puja poryay
Aamar milon lagi tumi aaschho kobe theke..
Geetobitan ..128....

Mere milan k liye tum kab arehen!
tumhara chand-suraj--tumhe kanha rakkhe chhupaye?
purana jamane se sanjh-sabere..
tumhare charan dhwani jhankare...
wo moshiha antar may mujhe bula k gaye-
wo ajnabi aj mere hridoi may chhagaye..
bich-bich may anond--jayse kanp-kanp k uthi..
jayse aj waqt aagaye..
mere sab kam -kaj kkhatam huye..
hawa aye wo maharaj ki suganddhi chhagaye...


-----avari hun mai maa -masi -bohen se.---

Wednesday 19 October 2016

মানবী 

হঠাৎ ভেসে আসা হারিয়ে যাওয়া ধন নহি -নহি উড়ে এসে জুড়ে বসা -
যাবার তরে উদগ্রীব অতিথি নহি -নহি বদ্ধ পুষ্করিণীর জল -
সমুদ্র তরঙ্গের তীরে এসে ভেঙে যাওয়া -ছিন্নভিন্ন জলকণা নহি -
নহি পাহাড়ের ঢালু পথের উন্মনা পথিক -চড়াই পথের শ্রান্ত -ধ্বস্ত নহি -
নহি পূবালী হাওয়া -নহি দমকা হওয়ার লণ্ডভণ্ড তছনছকারি -
নহি গ্রীষ্মের ভরদুপুরের শুন্যতা -নহি তীব্র দাবদাহের পর পশলা বৃষ্টি -
নহি শীতের হাওয়ায় ঝরে পড়া ঝরা পাতা। 

আমি পথের বন্ধনহীন গ্রন্থি -সীমানা ছাড়ানো রোদ্দুর -
প্রথম ঊষার কিরণ -হেমন্তের শিরশিরানি হিমেল অনুভূতি -
বসন্তের নব পত্রিকা -বনবনান্ত ভরপুর সবুজ -
এখনই হয়নি যাবার বেলা -অশোক -পলাশ -বকুল ফুলের সৃজনী -
মধুর গন্ধেভরা -উঠোন ঘেরা জোছনা মাখা আদর -
চাঁদের বুড়ির চরকা কাটা -চাঁদ মামার স্নেহ ভাসা -
সুয্যিমামার কড়া শাসন -মেঘের বন্ধু মেঘবালিকা -
মায়ের আঁচল ভরা ভালোবাসা -বাবার হৃদয় রতন -
ভাইবোনের খুনসুটির সঙ্গী -
আমি পুরান কালের বিদ্যুতের ঝলকে দেখা হরিশচন্দ্রের শৈব্যা -
আজকের নির্ভয়া -অনাম্নী অঙ্গনা মানবী। 


Saturday 15 October 2016

আমি 

দুর্গা মোদের ঘরের মেয়ে ,সৃস্টি তব দশহাতে -
তোমারমত  নাই বা থাকুক অস্ত্র মোদের এই গৃহে। 
তোমার পূজা অশুভ দলনি -মোদের পূজা নির্যাতনে -
তাই কি মেয়ের ঠাঁই চিতা আগুনে ?

হস্তে তোমার ত্রিশূল -তাই কিভীত  পুরুষ কূল ?
নেবে যদি জ্বলা প্রদীপ -
জ্বালবে তবে কে সন্ধ্যা ধূপ দীপ ?

বিপুল ব্যাকুল উদ্ভাবনী -জ্ঞান অঞ্জন শালাকায় -
আশায় উন্মিলীত নেত্র যুগল। 
চলে যাওয়ার বিপুল ক্ষতির সম্ভাবনায় -
জাগে না কি তোমার মতি ?

চলার পথে -পথের ধারে ফোটা  হরেক ফুল -
তৃণাদপিসুনীচেন অমানিনা মানদেন -
ভাবলে তুমি দলতে না কি এদূর্ব্বা  কোমল ?

ভেবে ভেবে মুদে আঁখি- মনের ঘাটে বসে থাকি -
পথের দিশা দাও এবারে -
তোমার শক্তিভক্তি  ভরে -দাও দেখি এ নারীরে -
পূর্ণ করো শূন্য হৃদয় -
সৃষ্টি ধারক- জননী বসুন্ধরারে। 


Monday 3 October 2016

আসছি 

অশ্বিনের ঊষা ছড়ায় সোনা কিরণ -
ঘাসের শিশিরকণা ধোয়ায় যুগল চরণ। 

শিউলি বাসে বাসে নীলাকাশ মধুময় -
পদ্মবনে ঘুরেঘুরে ভ্রমর কথা কয়। 

মা আসছে লক্ষী -সরস্বতী -কার্তিক নিয়ে -
গণেশ ?সে তো গেছে  কবেই  আগ বাড়িয়ে। 

মেয়েরা আমার যাবে , নিরাপত্তার ব্যাপারে -
অঘটন না ঘটে-- যাব মোটে চারদিন বাপের ঘরে। 



শেফালী কান পেতেছে চারণধ্বনি শুনে -
অসুর -সে তো পা ফেলেছে গুনেগুনে। 

বলে ,মা গো ত্রিশূল আঘাত কোরো আলগা কোরে -
হৃদয় ব্যামো আছে ,জানো তো বুক ধড়ফড়ে। 

সন্তানস্নেহে মাগো মামা বাড়িতে আদর -ভালোবেসো -
দুষ্টুমি ?আর করব না মা কানমুলছি একশত। 

তৈরী সবাই ? উবের এলো চলে  -
জল -খাবার -দাবার নিয়েছি ,বেরোয় দুগ্গা -দুগ্গা বোলে। 


Thursday 22 September 2016

এস গো মা
#মৌসুমী রায় 

আকাশ আজও একই আছে যেমন  ছিল শৈশবে ,
শরৎ এল নীল আকাশে  মুঠো খুশীর  উৎসবে। 
অগোছালো   অকারণে  দুষ্টু মেঘের ঢলে  ,
  ঐ  নবীন তরীর পালে মধুর বায়ে   ভেসে চলে ।

মেঘের  পরে মেঘ সাজিয়ে মন   অবয়ব গড়ে ,
হাঁক পেড়েছে ওধার হতে ,মা এল যে দ্বারে। 
কুঁড়েঘর ,দালান সাজাও গোছাও মনের  আহ্বলাদে ,
অরূপ রতন ,করো যতন মধুর মিষ্টি মৌতাতে। 

গায়ে মেখে  সোনা রং , ফুলেল সাজে   সুন্দরী ,
শরৎ শোভায়   এল,   মন মোহিনী  দিগম্বরী। 
আসছে উমা  মায়ের  ঘরে শান্তি  ধ্বজা উড়িয়ে ,
 তরী বেয়ে   নীলকণ্ঠ  এলো  আগাম খবর  নিয়ে। 

 বাজলো যবে  আলোর বেণু পুজোর ঢাকের তালে ,
  শিউলি   আবার    পথ সাজালে  নিজ  তরু তলে। 
অপরাজিতা,পদ্ম ,  হর গৌরী ব্যাকুল   আয়োজনে , 
কাশের বনে  ভ্রমর  গুনগুনিয়ে  আগমণী তানে। 

 চন্ডী পাঠে  শরৎ শশী র জ্যোৎসনা মাখা আদর,
বোধন হলো  মা   এলো ,  ঘন্টা -কাঁসর বাজে চারি ধার ।
পুজো পুজো গন্ধে ভরে ওঠে আকাশ বাতাস ময় ,
সবার  মুখে চোখে খুশীর সাজে ভরল হৃদয়।

আমার দুর্গা তোমার দুর্গা ভিন্ন কেন  করো  ,
 তোমায় আমি পেয়েছি বলে মিছে লাজেই মোরো। 
    সুধীজন রক্ষা করো   তোমার আমার    দুর্গা নামে , 
"অ্যাসিড "ঝলসে   " দামিনী " যেন না হয় দেখো ধরা ধামে।  

Saturday 17 September 2016

অভিমানী 
#মৌসুমী রায়

শিউলি কেন  ,অভিমানে হৃদয় ভরালে 
নিশীথে আসা -যাওয়া , তোমার প্রভাত তরুতলে। 
তোমার পারিজাতের  শোভা - নাদেখা ,মাদকতা ,
একটু ছোঁয়া  ,না ছোঁয়া খেলায় চপলতা। 

মধুর শরৎ  মউ নিশি সুগন্ধ ঢালো -
নিকষ নভে জোৎস্না মাখা  আলো। 
থরে থরে মেঘের মাঝে ,কখনও বা  বৃষ্টি পড়ে ,
ইচ্ছে ডাকে  এপার ওপার  , তোমার রঙিন সঙ্গ ধরে । 

সোনা রোদ আকাশ ঝলোমলো  -,স্নেহ ভরা  কোল,
 ওই দেখো ,চাঁপা আহ্লাদে দেয় দোল। 
আকাশ পানে সকল , ঘাড় বাঁকিয়ে ওরা  -
খেলে   দিনের রবি , শুধু তুমি ছাড়া। 

কাশের দল দোলে ,উলট পালট  হাওয়ার তালে -
শুধু তুমি দোল খাওনা  কেন  গো ঐ দোলে। 
ক্ষণের সাথী অপরাজিতা  ,সেও তো পাল তোলে ?
বাইছে তরী  নাবিক নামে আকাশ তলে  তলে। 

রাতের বেলায় গন্ধে তোমার , বিভোর  মাতলামি ,
সু বাস ,লুটে নেয় প্রেমিক নয়ন -মনন লোভি। 
নম্র শরতে  তোমার বাসা ,মেদুর নিশিগন্ধা -পূজায়  -
দিন গুনছে দেখো তোমায় দেখার  আশায়।

ক্ষনিকের সাথী মিষ্টি মেয়ে , মুগ্ধ ওগো আমি ,  
তোমার ছোঁয়া, রাখবে   যতন এ অনাম্নী।
রাগ করোনা লক্ষী ,আমার অধনের ধন ,
আঁচল পেতে রইবো বসে ,ভাঙো অভিমানী মন। 

Monday 12 September 2016

kemon achho

কেমন আছ 

স্বাধীনতা শুধাই যবে ,আছ কেমন ? এসেছি বছর সত্তর -জানা হয়নি কোনো উত্তর ,
ভাল নেই মন -যা চেয়েছিলাম পাইনি এখন ও সর্বজনের সুযোগের সদুত্তর।
আবাল -বৃদ্ধ -বণিতা গর্বিত না আশে ,সু -চেয়ে দু :বিরাজে -আফসোসে।
হেথা নাই সর্বজনের খাদ্য --বাসস্থান -সমাজ বিদ্ধ দারিদ্রে শিকল পাশে।

নারী ,নাবালিকা -সাবালিকা পিশাচের লালসা শিকার -অন্ধ নিয়ম বিচারে ,
গর্ভবতী বধুর ঠাঁই নেই হাসপাতলে -শ্বশুর কাঁধে ছোটে চিকিৎসা দ্বারে।
স্ত্রীর নিথর দেহ ঘাড়ে নিয়ে পথ চলে সাথে মা হারা মেয়ে --
এ যাতনা চলেছে আবহমান কাল ধরে -বিচার না পেয়ে।

সময় -অসময়ে মন চাই দিয়ে কাস্তেতে শান ,যেটুক হারালো -
জীবনের সুখস্মৃতি থেকে -দুর্যোগের ভনভনে মাছিগুলো -
সব জঞ্জাল সাফ করে ফেলে দি ডাস্টবিনে -
থাকে যেন সকলি সুখস্মৃতি লতা অঙ্কনে।

স্বাধীনতা নয় শুধু ধনীর অধীনে -
তোমার আমার অর্জনে -আস্থাভাজনে।
হৃদয়হীন তুমি চলে যাও --এসোনা হেথা কভু ,
ভয় হয় আকাশ -আলো কেড়ে নাও যদি ,
স্মৃতি -মেধা -ধৃতি সাথী বহমান নদী।

শুধু চাওয়া- দরিদ্র করোনা মোদের -নারী অহংকারে
আগামীর স্বাধীনতা আশ নিয়ে হাঁটছি --বহুদূরে।
সমাজ আনবে স্বাধীনতা সেইদিন -আসবে যেদিন সাম্য রসায়ন -
এককলম লেখার মধ্যি -থাকবে স্বাধীনতার আস্বাদন।




,

Sunday 4 September 2016

baba

বাবা 
#মৌসুমী রায়

 মনের ইচ্ছে সেথা লুকাই যদি,
প্রকাশ  খোঁজে মন নদী। 
ফুল ফুটেছে হঠাৎ বাগান ময় ,
বীজ -কুঁড়ি -ফুলে   সুবাস বয়।

খুশীর ঘরে ঢাকের বোল ,
প্রস্বাস নিঃস্বাস  মনে উতল। 
আদর -যতন -লালন কন্যা রতন -
বাবা ,শিক্ষক -বন্ধু -পথ প্রদর্শন।
ছুটলো মেয়ের ইচ্ছে গাড়ি 
বায়নাক্কায় ভরা ঝুড়ি। 
বাবার মেয়ে ?
ও  ঈশ্বরের আবদারী। 

কলকলি ,   দখিনপবন আয়োজন ,
বিহ্বলতায়  শাসন -অনুশাসন। 
মাতামাতির ভিড় এ  ভীত গড়ে মন,
হাতবাঁধে   বাবার শক্ত হাতের বাঁধন ।

 সে যে ভীষণ গহীন আপন, 
বিপুল ঢেউ -অগাধ বিশ্বাসে
দুষ্টুমির স্বাদ স্নেহ শাসন।

বাবার স্নেহের পরোকাশে ,
 অসীম সীমার  অবকাশে। 
অন্ত নীড়ে  বাবা ,স্বপ্ন ভেসে চল, 
ফাগুন  ভরে নিত্য রঙের কোলাহল। 

বাবার মতো কেন ,কেন হও না আজও ?
 মেয়ে খুঁজে বেড়ায় বাবা যদি হতো। 
খোঁজ আজও  তোমায় আলো -আঁধারে 
চলার পথে  তুমি মনের গভীরে। 

বাবার  হাতধরে আজও জীবন তরী বাওয়া ,
তোমার যাওয়া সেতো নয় কো  যাওয়া। 
বিস্ময় আকাশজুড়ে  অসীম আনন্দে  নিরন্তর ,
অন্তরে চির সবুজ তুমি ভাতিছ মন্তর। 


Wednesday 31 August 2016

ভাইরে 

মনে পড়ে ?
ছেলেবেলায় -ভাইবোন মিলে 
মুক্ত বাতাস নিতেম লুটেপুটে ,
আনন্দ -খেলা ,গোলবাঁধানো বেলা -
কলরবের হাটে। 
পরক্ষনেই মধুরমিলন হুল্লোড় উল্লাস ,
ধ্বনিল গৃহের পথ -ঘাট। 

নিমেষতরে ভুলেই কে বড় -ছোট ,
শিশুমন বাঁধনহীন --
বড়ো হবার অচেতন হৃদস্পন্দন 
মন আরব বেদুইন --

পড়ার সময় তাকাস বাহিরপানে -
আকাশ -পাখি -ফুল -
দেখিস মনে ,ভাবিস 
এ সব কী ভুল ?

গলা ভাঁজতিস সুরে সুরে মজা ভরে 
আজও বাজে সুমধুর। 
প্রলয় -তিমির বন্দি বিষণ্ণ -ভগ্ন হৃদয় -
হঠাৎ ছন্দপতন। 
দূর দিগন্ত খুঁজি -নিশীথ সমীরণ -
হারায় ক্ষনে খন। 

নিদ্রা অলস আঁখি -চোখের কোলে জল 
সে কী বড় হওয়ার ফল ?
দেখি -শুনি জগতে ,বইছে নতুন হাওয়া 
পরে এসে আগে চলে যাওয়া --

মহাপ্রাণ -সাগর মাঝে উদ্দাম -
আনন্দময় তরী বাওয় --
অপলক ব্রহ্মান্ড -দূর মধ্যাহ্নে 
তোকে চাওয়া -
হৃদয় চায়না বড়ো হতে ,
থেকে যেত সকল 
চাওয়া -পাওযা। 

এই যেসব হিসেব মাঝে 
যোগ বিয়োগের অঙ্ক ছলে 
তুইসকল  মাঝে। 

Sunday 28 August 2016

জন মাধ্যম
#মৌসুমী রায়
হরেক নামের মধুর টানে ,
কত রঙ্গ দেখাও দুনিয়ায়। 
মিডিয়া ?
ঘ্যানর ঘ্যানর হতে   শুদ্ধিকরণ দানে , 
যুব   সমাজ   তোমার  গঠন চায়। 

 প্রশ্ন , কেন বিজ্ঞাপন মুখঢাকে অশ্ল্লীলতা, 
 বড় ,মেজো, ছোট  বেলা মজে কপটতা। 
 বেলা  অবেলা বিপন্ন, লেকলুইজি গলে ঢালে ,
সুস্থ  জীবন এর  খোঁজ  নাহি পেলে ?

 বিজ্ঞাপণে ভোগ্য পণ্য মেয়ে ,  দেবতা পুরুষ বেলা ,
ধারাবাহিক উঁচুগলা অসংযোগ ছলা কলা। 
 টেবিল চাপড়ে যোগের বেশি বিয়োগ আলোচনা,
গঠনে বন্ধনে জাগাও আনমনা  মনের  সাধনা। 

না নিষেধ ,না শাসন ছুটছে ধরতে  পোকেমন ,
 কেউ তো বলো ,তফাৎ যাও সব মিথ্যা কথন।
ধারাবাহিক চিত্র প্রদর্শন ; হোক সমাজ কারিগর ,
দূর হটাও , ষড়যন্ত্র সাহস নামে বাচাল যাদুকর। 

 শুদ্ধ সত্তা , মেধা  বৃদ্ধি , দুঃখী গরীব ,নাই কি  প্রয়োজন ,
 নারী কলহ ,পাটপাট সজ্জা  কেবল  সমাজ নিধন। 
 প্রদর্শনে ছুটতে গিয়ে হোঁচট    বোকা বাক্সের চাষে ,
শিরদাঁড়া বাঁকাও কেন  মোহের অক্টোপাসে। 

 সমাজ  গড় ,শিরদাঁড়া শক্ত সোজা করে দাও ,
 মিডিয়া মানুষ হওয়ার পথের    দায় নাও।
  সাহিত্যে ফিরিয়ে দাও  , চটুল কলম চর্চা ফেলো ,
নবীন সমাজ গঠন করার তৃতীয় নয়ন মেলো।

Saturday 20 August 2016

bristi jodi ele

বৃষ্টি যদি এলে ---

টিপটিপ পায়ে বৃষ্টি যখন এলে -
  সুর ভরিয়ে ঘর -বারান্দাতে। 
ঝমাঝম শব্দ ভাঁড়ে মিঠাস ভোরে ,
শুধায় ,কাল যে বড় মেঘ হওনি ?
আসনি সাদা -কালো আকাশজুড়ে ?
বন্ধু হাওয়া উলট পালট করে ,
তাও বহেনি ,বুঝব কেমন তরে। 


জানোনা বুঝি আসছি সিন্ধু -
দীপা -সাক্ষী সাথী করে। 
কি যে দেব জুঁই -কদম ফুল -
তোমার ঝাপট সব পড়েছে ঝরে। 
মাধবী তো মন খারাপে ব্যস্ত ,
জল মেশা গন্ধ না ঢালতে ত্রস্ত। 

দুস্টু -সব নিয়েছ চাল -ডাল -আলু ,
ইলিশ -বেগুন কাবু। 
আসবে যখন বলে -কয়ে এস কেমন ,
সোনা -মেয়েরা এলে জুড়োয় প্রাণ -মন। 

Wednesday 17 August 2016

দীপা 

দীপাদের দীপ -ভারত মাতার সন্ধ্যাবাতি ,
ভারতীয় ত্রিপুরেশ্বরী বাঙালি। 

অলিম্পিক্স মঞ্চে ত্রিরঙ্গা পতাকা ,
নয়ন জুড়ায় তোমাদের মতো কন্যারা। 

চোখ জুড়ানো ভল্ট -মুখ জুড়ে হাসি ,
যেথা মৃত্যু হাতছানি ব্রহ্মাস্ত্র এটি। 

প্রদুনোভা আকাশ ছোঁয়া চেষ্টা ,
মুহুর্মুহু নাম ঝলকের রেশ টা। 

আন্তর্জাতিক -জাতীয় পদক সাতাত্তর ,
জিমন্যাস্টিক্স সাতষট্টি স্বর্ণ মোড়ক। 

পড়ালেখা -খেলায় পারদর্শী ,
দেশের গর্ব -গল্প তুমি হৃদয় স্পর্শী। 








Monday 15 August 2016

bishu kaka--

বিশু কাকা 

নীল আকাশ মোড়া -পুকুর -বিল -ডোবা গ্রাম ,
নাও কোটি --প্রণাম। 
কত ব্যথা -কথা ভেজা আঁখি ,
ফিরব নতুন হয় জন্ম যদি। 

এ গাঁয়ের বিশু কাকা -খাটতো সকাল সাঁঝ একা ,
পান্তা -নুন -লংকা পুঁটলি ভরে ,
প্রাতঃরাশ হত অবসরে। 
কাঁধে লাঙ্গল সঙ্গী বলদ জোড়া ,
হেই -হেই -হ্যাট হ্যাট ,হাতে বিড়ি ধরা। 

দিনের শেষে ফিরত ঘরে হাসি মুখে ,
কাঠের জ্বালে উনুন পরে ,
খুড়ি চাল দিয়েছে মাটির হাঁড়ি ভরে ,
ছেলে -মেয়ে মাছ এনেছে গামছা ছেঁকে। 

কুড়ো বাড়া শাক -মাছের অম্বল ,
খাবার এটাই সম্বল ,
একবেলা পেটভরা -অন্য সেথা উপোস ,
অতিথিরে এগিয়ে দেয় জল -মুড়ি এক বারকোষ। 

ভালোবাসায় ভরা হৃদয় -আপ্যায়ন ,
মাটির ঘর কুপির আলো ঘটতো নিত্য জোছন। 
হিসেবে -নিকেষ -পড়া লেখা জানে না সে ,
স্নেহে লেখা আখর ভরা যে। 

নিত্য দিনের অভাব -ব্যাপ্তি জীবন ভর ,
মন ছিল স্বচ্ছ কাঁচের ঘর। 
ভালো লাগে খুঁজতে শহরের চিলতে আকাশ জুড়ে -
ফিরে এলে তুমি জেনো -শ্রদ্ধা-প্রণাম দুই করে।  

Saturday 6 August 2016

শ্রাবণে ---

আজ কে শ্রাবণ ঘরে আমার -ও 
নিত্য আসা যাওয়া মাঝে ,
জানি তোমায় মনের মতো। 

মোহো -মায়া ভুলে আছি ,
না পাওয়ার হিসেব করে -
প্রতিবেদন -বেদন ভারে। 

জানা -অজানা তোমার সঙ্গ বাস ,
সকাল -সাঁঝ -নিশীথ রাত ,
তোমার নিয়ে ,দিই তোমায় এ দাস ,

অরূপ তোমায় হারায় হৃদয় ,
নীরব মনন তব প্রেমময় ---
শান্তি -শান্তি খুঁজে বেড়ায় ,
এলে ফিরে -বাণী ও সুরমূর্ছনায়। 

Thursday 28 July 2016

manus hao

শেষের নেশা 
ভুবন তো আজও হল কাঙাল ,
দেখতে পেলে কি নিঠুর। 

পরিবর্তন জালে কুয়াশায় মন যখন ,
মানব সমাজ আজ বিফল আতুর। 
আমার ছিল ছোট ঘর -যৌথ পরিবার ,
ঠাকুমা দাদু -পিসি -জেঠু -দিদা -মামা -কাকা ,
ভাই -বোন হীন ইলেক্ট্রন -নিউট্রন -প্রোটন --
একা একা দিন্ যাপন। 

আমার বেলা ঠাকুমার ঝুলি -বুড়ো আংলা -গল্প দাদুর আসর ,
তোমার দেখি হারি পটার -ডোরেমন -পোকেমন -মোটু পাতলু কদর। 

আমার বড়ো হওয়া মেঝে বসে খাওয়া ,
তোমার তো টেবিল চেয়ার --
হাতের বদল কাঁটা চামচ ছোঁয়া। 

আমার বায়না লেবেঞ্চুস -বিস্কুট ,
ভাগা ভাগি ভাই বোন হুজ্জুত। 
তোমার বেলা পিৎজা -কোল্ড ড্রিংক ,
সঙ্গী আবার ফেসবুক -অর্কুট। 

আমার পুজো দোকান ঘুরে -
নতুন জামার গন্ধে ভোরে ,
তোমার এ সব কিছু ফ্লিপকার্ট অর্ডার করে। 

স্পর্শে অনুভূতি আমার ভালোবাসা ,
মাটির কাছে থাকতে চাওয়া ,
গাঁজা -মদের নেশায় ডুবে ---
চট জলদি আকাশ ছোঁয়া। 

আমার সকল খারাপ -ভালোয় মেশা --
তোমার যেন ভালোর চেয়ে খারাপ বেশি ,
দায় বর্তায় বাবা -মা এর বাড়াবাড়ি ---
তাই -ই কি দাদু -ঠাকুমা বৃদ্ধাশ্রম বাসি 

আমার জন্মদিন কাটত পায়েস -দীপ -ধুপ জ্বেলে ,
তোমার কাটে বন্ধু -কেক -মদ দিয়ে। 

আমার নেশা বই গল্প গাথা গানঘেরা ,
তোমার বেলা ভিডিও গেম কার্টুন  দিয়ে মোড়া। 

ভাবার নেই সময় চোখে মোহের ধাঁধা ,
নেশার বেশে ফিরছে মোহো মায়া। 

এবার সময় ভাবার নইলে ,
নেশার ছোবল ঘেরি অক্টোপাশে আঁটা। 

তোমার -আমার অঙ্গীকার --
জীবন বাঁচাও মানুষ হও আবার। 

Tuesday 12 July 2016

Smriti

গুণ
#মৌসুমী রায় 
মা বলে যখন  
আয়রে  কাছে ;
আয়রে  মেয়ে,
 শুনবি তবে যদি ,
তুই কেমন  গুণের নিধি?

 মেয়ে শুধাই ,
মানে কি গো - গুণ  ?
সে  কী ?ধনুক -তীর-এর তূণ !
মা বলে ,শুধাও  গিয়ে,
 তোমার যা ইচ্ছে তাঁকে।
এক পলকে মেয়ে ,
ছুট্টে পিপল গাছ তলে -
গুণ -এর অর্থ এক্ষুণি  দাও বলে;
পিপল বলে,
 "জানতে তবে -
যাও বকুল গাছের দলে; 
আনো যদি গন্ধে ভরা ফুল ,
অর্থটি বলব বিলকুল"। 
---
"বকুল ফুল দাও না কিছু ফুল" ,
"দিতে পারি  তোমায় কত্তো ,
-- বাছা ,আনো কাপাস তুলোর সূতো"। 
---
"কাপাস দাও তো দেখি তুলো তুলে ,
তোমার সুতোয় গাঁথব  মালা ,
বকুল ফুলে"। 
---
সে বলে, 
"দেব ক্ষণ;
একটু বোসো, বোন। 
যাও তো দেখি  নীল আকাশের নীচে ,
নদীর পাড়ে কাশের দলে --
কাশের গুচ্ছ এনে দিলে  ,
পাবেই তবে ,
মনে রেখো প্রতিপলে"। 
---
অরুণ আলো মেখে কাশের দল ,
অকারণ চঞ্চল --
শুনে বলে,
 "যাব তোমার  সাথে চলে ,
শরৎ কে আসতে বল তবে"। 
---
সকল শুনে শরৎ  বলে,
" এমন কি আর কথা...
তোমার  আমি সাথী ,
চলো সেথা"। 
---
শরৎ এলো ,কাশের দলে । 
নদীর জলে নেয়ে- 
কাশ ফুল  পেল ,
পেলব-কাপাস-বনে  ।
---
কাপাস দিল সুতো ,
সূতো পেযে মেয়ে ,
ছুটল বকুল বনে ,
বকুল মালা  গেঁথে ,
মেয়ের আকুল মনে।
মালা দিলো পিপল গাছের গলে ,
 কথা রাখার ,
স্বরণ ,স্মৃতি একেই বলে।
পিপল গাছের তলে ,
মা কোলে নিয়ে ,
"তোমার মতোই তুমি ...
তুমি আমার ,
গুণের র শিরোমনি। "----  








Saturday 9 July 2016

Dharmabotar

ধর্মাবতার
#মৌসুমী রায় 

সত্য উবাচ অগ্নি কন্যা দ্রৌপদী ---
পিতা অপমানে ,প্রতিশোধ পথে 
পঞ্চপান্ডব এ  নীতির  বিবাহ রচি।

স্পৃহা দ্রোণাচার্য নিধনে ,
লালন রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রতিক্ষণ। 
সয়ম্বরে প্রথম  ভালোবাসা কর্ণ ,
সূর্য সম তেজ ,যোগ্যতায় দ্রোণ। 
মন মস্তিষ্কে শান সূতপুত্র
কর্ণে ,
স্বীকার যাই ,কর্তব্যে বিবাহ অর্জুনে। 

রাধা সূতপুত্র কৌরব  গত প্রাণ ,
বস্ত্র হরণ এ তাপ অনুতাপ হীন ,
সম্মতি কাপুরুষোচিত  অনুক্ষণ। 

প্রথম প্রেমে তখনও অবিচল মন ,
সত্য কথনে প্রতিষ্ঠিত একজন সে ?
মধ্যম ও যে  ,রূপহীন  ভীম। 
দোলাচলে স্থির অর্জুনে ,
অহংকার অভিমানে পরিবর্তন। 

ন্যায়অন্যায়এ মৌন কুন্তী,
 মুখর পাঞ্চালী র স্তব্ধ কলকল্লোল , 
পঞ্চ পাণ্ডব নিরাপদ অঞ্চল  ।
ভালোবাসি তোমায়   শুধু অর্জুন,
বন্ধক বাজিতে আমার আকুলি ব্যাকুলি , 
জেনেও নির্বাক সভা মন্ডলী।

চিত্র গুপ্ত সভায় সত্য অঙ্গীকার কৃষ্ণার ,
মিনতী  শুনতে পায়নি ভীষ্মদেব, 
ঘৃণা ,যুধিষ্ঠির -ভীম -অর্জুন -নকুল -সহদেব। 
মনের কোণে আজও ভালোলাগায়  কর্ণ ,পুত্র পৃথার।

 শুনুন ধর্মাবতার ,

পিতার অপমান এ  মন ,
শৈশব হতে  লালন।
অপমান ,অভিমান ,লাঞ্ছনা ,বেদনা ,
কর্ণের প্রতি অবহেলা অপমান , 
 যুদ্ধের আপামোর কারণ।
-----------



Saturday 2 July 2016

labon e jibon

লবন -ই প্রেম 

লবন -নমক -নুন ,
জিভে দিলেই বাছা -
গাইতে হবে গুণ। 

ব্যঞ্জন -সমৃদ্ধ পরিবার ,
গৃহস্থ -ভাতের চাল 
সেদ্ধ -আধসেদ্ধ না গলা ,
পরিবার তার নিয়মে চলা। 

সবজি -পাতি ,টাটকা বাসি ,
এঁরা পতি -পত্নী। 

তেল ,ঝাল -মিষ্টি রন্ধনে 
গৃহ সদস্য -স্পন্দনে। 

সর্বোপরি 'প্রেম 'লবন -
বেশি কম এ ঘটে আস্বাদন ,
আশা -ভরসা -
স্বাদে -সাধে এ জীবন। 
লবন যেথা প্রেম ----
জীবনের কাঁচা হেম। 

Friday 24 June 2016

upekkhita

উপেক্ষা 

কাব্যে উপেক্ষিত নারী ,নর 
অগোচর নিরন্তর, 
সীতা ভগিনী ,লক্ষণ অর্ধাঙ্গিনী, 
পরিচয় মোর অনাম্নী ।
মনের মাঝে বসত ,
একাকী বসন্ত চতুর্দশ ।
উথাল পাথাল ,ক্রন্দন ক্ষত ,
দ্বেষ বিদ্বেষ ছন্দ রত।,
অভিমান ,পারেনি বলতে 
সাত পাকে বাঁধা ভালো মন্দে ,
পারেনি বলতে ভালো বাসি ;
লেখা হয় নি মহাকাব্যে। 
রামায়ণ শুধু মজে সীতা রাম ;
আমাদের গোপন সম্মতি 
দিয়েছে ওদের বিশ্রাম। 
উপেক্ষায় ভরে আজি 
"ঊর্মিলা লক্ষণ" কথা কাহিনী। 
উপেক্ষার-ও সাথী তুমি ,
বন্ধন আজিও অটুট মানি। 

Tuesday 21 June 2016

Writuporno

ঋতুপর্ণ 

ছয়টি পাতা সেজেছে ঋতু, 
গ্রীষ্মে স্নিগ্দ্ধ পর্ণ আভরণ ;
দহন।
বৃষ্টি সেদিন ভিজিয়ে ছিল 
চোখের পাতা হয়ে ,
দোসর।
শরৎ ভাবে ভুলে যাব ,হয় নি ভোলা, 
হলো বোধন তোমার, খেলায় 
খেলা।
হেমন্তের পাখি তুমি, হাওয়াই হিমেল 
শুভমহরৎ। 
বাহক তুমি গৃহ সজ্জার 
আবহমান। 
মনে পড়া কথা ,বাস্তবে 
সব চরিত্র কাল্পনিক। 
চলন ,বলন নিখুঁত যোজন 
হারাও তুমি ক্ষণে খন ,
মনের উল্কি ঋতু... 
রাজার নন্দন ,নন্দিনী 
চিত্রাঙ্গদা।
প্রখর দাবদাহে ,এক পশলা বৃষ্টি 
তুমি 'ঋতুদা '...