Thursday 22 September 2016

এস গো মা
#মৌসুমী রায় 

আকাশ আজও একই আছে যেমন  ছিল শৈশবে ,
শরৎ এল নীল আকাশে  মুঠো খুশীর  উৎসবে। 
অগোছালো   অকারণে  দুষ্টু মেঘের ঢলে  ,
  ঐ  নবীন তরীর পালে মধুর বায়ে   ভেসে চলে ।

মেঘের  পরে মেঘ সাজিয়ে মন   অবয়ব গড়ে ,
হাঁক পেড়েছে ওধার হতে ,মা এল যে দ্বারে। 
কুঁড়েঘর ,দালান সাজাও গোছাও মনের  আহ্বলাদে ,
অরূপ রতন ,করো যতন মধুর মিষ্টি মৌতাতে। 

গায়ে মেখে  সোনা রং , ফুলেল সাজে   সুন্দরী ,
শরৎ শোভায়   এল,   মন মোহিনী  দিগম্বরী। 
আসছে উমা  মায়ের  ঘরে শান্তি  ধ্বজা উড়িয়ে ,
 তরী বেয়ে   নীলকণ্ঠ  এলো  আগাম খবর  নিয়ে। 

 বাজলো যবে  আলোর বেণু পুজোর ঢাকের তালে ,
  শিউলি   আবার    পথ সাজালে  নিজ  তরু তলে। 
অপরাজিতা,পদ্ম ,  হর গৌরী ব্যাকুল   আয়োজনে , 
কাশের বনে  ভ্রমর  গুনগুনিয়ে  আগমণী তানে। 

 চন্ডী পাঠে  শরৎ শশী র জ্যোৎসনা মাখা আদর,
বোধন হলো  মা   এলো ,  ঘন্টা -কাঁসর বাজে চারি ধার ।
পুজো পুজো গন্ধে ভরে ওঠে আকাশ বাতাস ময় ,
সবার  মুখে চোখে খুশীর সাজে ভরল হৃদয়।

আমার দুর্গা তোমার দুর্গা ভিন্ন কেন  করো  ,
 তোমায় আমি পেয়েছি বলে মিছে লাজেই মোরো। 
    সুধীজন রক্ষা করো   তোমার আমার    দুর্গা নামে , 
"অ্যাসিড "ঝলসে   " দামিনী " যেন না হয় দেখো ধরা ধামে।  

Saturday 17 September 2016

অভিমানী 
#মৌসুমী রায়

শিউলি কেন  ,অভিমানে হৃদয় ভরালে 
নিশীথে আসা -যাওয়া , তোমার প্রভাত তরুতলে। 
তোমার পারিজাতের  শোভা - নাদেখা ,মাদকতা ,
একটু ছোঁয়া  ,না ছোঁয়া খেলায় চপলতা। 

মধুর শরৎ  মউ নিশি সুগন্ধ ঢালো -
নিকষ নভে জোৎস্না মাখা  আলো। 
থরে থরে মেঘের মাঝে ,কখনও বা  বৃষ্টি পড়ে ,
ইচ্ছে ডাকে  এপার ওপার  , তোমার রঙিন সঙ্গ ধরে । 

সোনা রোদ আকাশ ঝলোমলো  -,স্নেহ ভরা  কোল,
 ওই দেখো ,চাঁপা আহ্লাদে দেয় দোল। 
আকাশ পানে সকল , ঘাড় বাঁকিয়ে ওরা  -
খেলে   দিনের রবি , শুধু তুমি ছাড়া। 

কাশের দল দোলে ,উলট পালট  হাওয়ার তালে -
শুধু তুমি দোল খাওনা  কেন  গো ঐ দোলে। 
ক্ষণের সাথী অপরাজিতা  ,সেও তো পাল তোলে ?
বাইছে তরী  নাবিক নামে আকাশ তলে  তলে। 

রাতের বেলায় গন্ধে তোমার , বিভোর  মাতলামি ,
সু বাস ,লুটে নেয় প্রেমিক নয়ন -মনন লোভি। 
নম্র শরতে  তোমার বাসা ,মেদুর নিশিগন্ধা -পূজায়  -
দিন গুনছে দেখো তোমায় দেখার  আশায়।

ক্ষনিকের সাথী মিষ্টি মেয়ে , মুগ্ধ ওগো আমি ,  
তোমার ছোঁয়া, রাখবে   যতন এ অনাম্নী।
রাগ করোনা লক্ষী ,আমার অধনের ধন ,
আঁচল পেতে রইবো বসে ,ভাঙো অভিমানী মন। 

Monday 12 September 2016

kemon achho

কেমন আছ 

স্বাধীনতা শুধাই যবে ,আছ কেমন ? এসেছি বছর সত্তর -জানা হয়নি কোনো উত্তর ,
ভাল নেই মন -যা চেয়েছিলাম পাইনি এখন ও সর্বজনের সুযোগের সদুত্তর।
আবাল -বৃদ্ধ -বণিতা গর্বিত না আশে ,সু -চেয়ে দু :বিরাজে -আফসোসে।
হেথা নাই সর্বজনের খাদ্য --বাসস্থান -সমাজ বিদ্ধ দারিদ্রে শিকল পাশে।

নারী ,নাবালিকা -সাবালিকা পিশাচের লালসা শিকার -অন্ধ নিয়ম বিচারে ,
গর্ভবতী বধুর ঠাঁই নেই হাসপাতলে -শ্বশুর কাঁধে ছোটে চিকিৎসা দ্বারে।
স্ত্রীর নিথর দেহ ঘাড়ে নিয়ে পথ চলে সাথে মা হারা মেয়ে --
এ যাতনা চলেছে আবহমান কাল ধরে -বিচার না পেয়ে।

সময় -অসময়ে মন চাই দিয়ে কাস্তেতে শান ,যেটুক হারালো -
জীবনের সুখস্মৃতি থেকে -দুর্যোগের ভনভনে মাছিগুলো -
সব জঞ্জাল সাফ করে ফেলে দি ডাস্টবিনে -
থাকে যেন সকলি সুখস্মৃতি লতা অঙ্কনে।

স্বাধীনতা নয় শুধু ধনীর অধীনে -
তোমার আমার অর্জনে -আস্থাভাজনে।
হৃদয়হীন তুমি চলে যাও --এসোনা হেথা কভু ,
ভয় হয় আকাশ -আলো কেড়ে নাও যদি ,
স্মৃতি -মেধা -ধৃতি সাথী বহমান নদী।

শুধু চাওয়া- দরিদ্র করোনা মোদের -নারী অহংকারে
আগামীর স্বাধীনতা আশ নিয়ে হাঁটছি --বহুদূরে।
সমাজ আনবে স্বাধীনতা সেইদিন -আসবে যেদিন সাম্য রসায়ন -
এককলম লেখার মধ্যি -থাকবে স্বাধীনতার আস্বাদন।




,

Sunday 4 September 2016

baba

বাবা 
#মৌসুমী রায়

 মনের ইচ্ছে সেথা লুকাই যদি,
প্রকাশ  খোঁজে মন নদী। 
ফুল ফুটেছে হঠাৎ বাগান ময় ,
বীজ -কুঁড়ি -ফুলে   সুবাস বয়।

খুশীর ঘরে ঢাকের বোল ,
প্রস্বাস নিঃস্বাস  মনে উতল। 
আদর -যতন -লালন কন্যা রতন -
বাবা ,শিক্ষক -বন্ধু -পথ প্রদর্শন।
ছুটলো মেয়ের ইচ্ছে গাড়ি 
বায়নাক্কায় ভরা ঝুড়ি। 
বাবার মেয়ে ?
ও  ঈশ্বরের আবদারী। 

কলকলি ,   দখিনপবন আয়োজন ,
বিহ্বলতায়  শাসন -অনুশাসন। 
মাতামাতির ভিড় এ  ভীত গড়ে মন,
হাতবাঁধে   বাবার শক্ত হাতের বাঁধন ।

 সে যে ভীষণ গহীন আপন, 
বিপুল ঢেউ -অগাধ বিশ্বাসে
দুষ্টুমির স্বাদ স্নেহ শাসন।

বাবার স্নেহের পরোকাশে ,
 অসীম সীমার  অবকাশে। 
অন্ত নীড়ে  বাবা ,স্বপ্ন ভেসে চল, 
ফাগুন  ভরে নিত্য রঙের কোলাহল। 

বাবার মতো কেন ,কেন হও না আজও ?
 মেয়ে খুঁজে বেড়ায় বাবা যদি হতো। 
খোঁজ আজও  তোমায় আলো -আঁধারে 
চলার পথে  তুমি মনের গভীরে। 

বাবার  হাতধরে আজও জীবন তরী বাওয়া ,
তোমার যাওয়া সেতো নয় কো  যাওয়া। 
বিস্ময় আকাশজুড়ে  অসীম আনন্দে  নিরন্তর ,
অন্তরে চির সবুজ তুমি ভাতিছ মন্তর।