অধরা মাধুরী
প্রথম পর্ব
#মৌসুমী রায়
সকাল সকাল অন্য বেলা অবেলার মতো আজ বেলাটা নয়। একটু অন্য রকম -আজ মৌ এর ব্যস্ততম দিন। সময়ের মধ্যে সব কাজকম্ম গুছিয়ে ফেলতে হবে। রাত দশটায় কোলকাতা রেল গন্তব্য থেকে রেলগাড়িতে ওঠা। উত্তরবঙ্গের ডুয়ার্সের উদ্দেশ্যে রওনা। আনন্দে মন আহ্লাদে আটখানা। অনেক জায়গায় ঘোরা ঘুরি হয়েছে- ডুয়ার্স এই প্রথম। কাগজ -পত্রপত্রিকায় পড়া আর স্বচক্ষে দেখা অনেক তফাৎ। আনন্দধারা ভুবন ব্যাপিয়া মনন ছাপিয়া জীবন এর প্রথম পাহাড় -নদী -জঙ্গল মহা মিলনক্ষেত্র।
নতুন মাল রেল গন্তব্যে পৌঁছনোর আগের মুহূর্ত পর্যন্ত যাত্রাপথে যে কি সৌন্দর্য বোধকরি রেলগাড়িতে না চড়লে উপভোগ করা যেতনা।সবুজে সবুজ বনানী প্রান্তর -সবুজের তোরণ রচনা করেছে আহ্বান করার জন্য। পাখিদের কলকাকলি শঙ্খ ধ্বনি মনে হচ্ছে। চারিদিকে চাবাগিচা সবুজ আঁচল পেতে রেখেছে মায়ের মত। মন উদাস করা সবুজ নানান গাছের গন্ধ -উফ কী মাদকতা। যা শুধু নিজের ইন্দ্রিয় গ্রাহ্য -মনের ছবিতে এঁকে রাখা। চোখ বন্ধকরে সুগন্ধ নাও -অনুভব করো। বলতে পারি প্রকৃতি তুমি কত সুন্দর।
যেতেযেতে পথ দিতে চায় -নিতে চায় না কিছু। তাঁর রূপ -রস -গন্ধ বনের পথের মনের সঙ্গী। হঠাৎ ময়ূর তার পেখম নিয়ে দুলকি চালে রাস্তা ঝাড়ু দিতেদিতে যাচ্ছে। গাড়ির শব্দে দ্রুত বনের মধ্যে। রঙ্গীন প্রজাপতির দল উড়ে এসে গায়ে পাখনা ছুঁয়ে দিয়ে গেল। যাত্রা পথে ঝিঁঝিঁ পোকার মিলিত সুরবন্দনা -ছন্দ। কখন লাটাগুড়ি আবাস এ পৌঁছে দিল বোঝা গেল না। সারাদিনের ক্লান্তি আমার করলো রমণীয় চলার পথের সাথীরা।----
No comments:
Post a Comment