Thursday 18 May 2017

অধরা মাধুরী
তৃতীয় পর্ব 
#মৌসুমী রায় 

পথের সাথী জলঢাকা। পথ চিনিয়ে নিয়ে চলেছে নদী নতুন ঠিকানার খোঁজে। চলতে চলতে নদীর কোথাও জল তো কোথাও নুড়ি পাথর। এই সেই মধ্যবর্তী জলস্থল এ এক সুন্দরীর খোঁজ মিলল। প্রকৃতি তাঁর চন্দন -কুমকুম -ওড়না দিয়ে কনে সাজিয়ে রেখেছে। নামটি তাঁর ঝালং। পাহাড় ঘেরা সাজে তাঁর বসত নীল আকাশের মাঝে। তার এ পাড়েতে ভারত মাতা -ও পাড়েতে ভূটান।ঝালংএর মন মর্জি ক্ষণে ক্ষণে বদলায়। মেঘ পিওনের চিঠির প্রাপ্তি স্বীকারের ওপর। মনে মেঘ হলে বৃষ্টি আসবেই।সেই মেঘ কে বৃষ্টি ধারায় আনতে মিলবে পাহাড়ের মিষ্টি মেয়ের হাতের তৈরী ধোঁয়া ওঠা মোমো -চা -কফি। সাথে রৌদ্র -ছায়ার খেলা। ঝালং ঘিরেছে সবুজ গাছ -পাহাড় -নদী -ফুল -পাখি। 
চলতে পথে মিলল দেখা ভারতবর্ষের উত্তরবঙ্গের শেষ গ্রাম। নামটি তাঁর বিন্দু। পূর্ণচ্ছেদ -বিন্দু। প্রকৃতির কোনো পূর্ণচ্ছেদ নেই -তার ব্যাপ্তি অতল -অসীম। বিন্দু নামটি সাহিত্যের বিন্দুবাসিনীর কথা মনে পড়ায়। পাহাড় ঘেরা সাজে বিন্দু নীল আকাশের মাঝে। বিন্দু পরম স্নেহের বন্ধনে সেতু বন্ধন করেছে ভুটানের সাথে। তাঁদের আতিথেয়তা দিচ্ছে আমাদের দেশের অতন্দ্র প্রহরী সৈনিক।
এখানেই জলঢাকা বিদ্যুৎ প্রকল্প।  হৃষ্টপুষ্ট সারমেয়র দল চলেছে সাথে। ছবি তুলতে পারদর্শী কিন্তূ রেগে গেলে ভয়ংকর।
সৌন্দর্য চোখে -মুখে নিয়ে ফেরা। বিদায় জানাতে আবার ঝালং -পাহাড় -নদী -পাইন হাজির। আবার এস ফিরে। ভালো থেকো -প্রকৃতি বাঁচিয়ে রেখো। ফেরার পথে অন্য  পথের খোঁজ পেড়েছে বক্সা -জয়ন্তী রা। ----

No comments:

Post a Comment