Wednesday 17 May 2017

অধরা মাধুরী 
দ্বিতীয় পর্ব
#মৌসুমী রায় 

উত্তরবঙ্গের নেওরা নদীর তীরবর্তী এই লাটাগুড়ি। নেওরা নদী আর তার আশেপাশে বসতি -গাছগাছালি প্রকৃতিরে সাজায়ে তুলেছে।আদিবাসী মানুষজনের আনাগোনা -তাদের অল্পসল্প শাকসবজি নিয়ে বসানো হাট -সেখানে কেনাবেচা চলছে। মেয়েরা হাঁড়িয়া নিয়ে বসেছে-সেখানে কিছু পুরুষের আনাগোনা। রাস্তার দুই পাশে যতদূর চোখ যায় শুধুই চাবাগান আর চাবাগান -সবুজে চোখ ধাঁধায় -চোখ আরাম পায়।   চাগাছের মাঝে মাঝে নামকরণ করা বড়ো বৃক্ষ -সেই বৃক্ষ কে আলিঙ্গন কোরে আছে গোলমরিচের গাছ।প্রকৃতির সহাবস্থান মন কে থামিয়ে ভাবতে শেখায় -তোমরা মানুষেরা এভাবে বাঁচো -দেখো ভালো থাকবে।  
গাছেগাছে নানান ফুলফুটেছে -এদের আকৃতি প্রকৃতি দক্ষিণবঙ্গের ফুলের তুলনায় বেশ পুষ্টি লাভ করেছে। রাতের বেলা এদের সৌন্দর্য দিনের আলোর মতো উজ্জ্বল।রাতের জঙ্গল যেন সৌন্দর্যের মধ্যে ভয়ংকর সুন্দরী খেতাব আদায় করে নিয়েছে।  উপভোগ করতে করতে  গা  ছমছম অনুভূতি। সাথে বুনো মিষ্টি গাছের গন্ধ মন মাতাল। গ্রাম্য ভাব আবার তার সাথে মানুষজন এতো মিষ্টি যে তাদের ভাষাতেও সেটা নজর কারে। 
নদীটির নাম মূর্তি -সে তার রূপের পসরা সাজিয়ে বসে রয়েছে। ঝিরিঝিরি বইছে বারোমাস। তারজন্য সে আজ চারানা কাল চারানা দাবি করেনা। বলে যেন এস কাছে একটু হাতে -পায়ে জল নাও স্নিগ্ধ হও। এখানে বৃষ্টিপড়ে বারোমাস -গাছগুলো ছায়া দেয় -আগল দেয় মা -বাবার ভালোবাসার মত। বৃষ্টির জল মাটির বুকের মাঝে বন্দি।
মেঘথেকে পড়ে মৃত্তিকাতে মেশে। ধরণী সবুজেসবুজ বনানী বিথীকায়।মূর্তিনদির যাত্রাপথে ময়ূর -ময়ূরী -বন মোরগ -রংবেরংয়ের পাখির সাথে দেখা। কখনো হরিণ -হঠাৎ তার ছুটে যাওয়া -সবই পলক এর মাঝে। 
কত যে নদী -আর নদী -যেন প্রকৃতির গলায় রূপালী গলাবন্ধ এঁকেছে।   পাহাড়ের গায়ে পড়িয়েছে যে কণ্ঠহার সে জলঢাকা ।পাহাড় -নদী -গাছ -ফুল -পাখি নিয়ে এগিয়ে চলেছে পথ দেখিয়ে জলঢাকা। নতুন পথের সন্ধানে। ------

No comments:

Post a Comment